আগেকার দিনে চাষাভূষা পিতামাতাই
সন্তানদের বানিয়েছিল ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার
প্রফেসর বিজ্ঞানী কবি সাহিত্যিক মণিঋষি আওলিয়া ।
আজকের দিনের সেই শিক্ষিত সফল
মানুষগন সন্তানদের তাদের মতোও গড়তে
পারেনি বরং বানিয়েছে নেশাগ্রস্থ উন্মাদ  দেওলিয়া ।


নিজে পান্তাপানি খেয়ে না খেয়ে
অবর্ণনীয় কষ্টের পর কষ্ট করে করেছিল
বিলাত গিয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ দামী ডিগ্রীটাও অর্জন ।
আদর আহ্লাদে গাড়ি বাড়ি নারী সহ
সব পাওয়া এবং তা পেয়ে বখে যাওয়া তাদের
সেই সন্তানগন মাঝ পথে পড়াশুনাই করেছে বর্জন !


মাবাবার বেপরোয়া চলনে বলনে
আর তাদের সর্বগ্রাসী কত ঘৃণ‍্য কর্ম সাধনে
জবরদখল লুটপাট ঋণে রেখে যাওয়া শিল্প সম্পদে ।
বিনাশ্রমে যা কিছুই হোকনা পাওয়া
তা তো হবেই হাওয়া, যা ধরে রাখার যোগ‍্যতাও
গড়েনি তাই তা পেয়ে তারা পড়েছে পদে পদে বিপদে !


স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে বরং তা
রক্ষা করা যেমন কঠিন তেমনি কঠিন মাবাবার
চাতুরীতে অবৈধ অর্জিত ঐ বিশাল সাম্রাজ্য সামলাতে ।
তাদের অনুপস্থিতিতে হায় সেইসব
আদরের সন্তানের অকর্মণ‍্য জীবন কেটে যায়
অবলীলায় মানুষের ঘৃণা ধিক্কার আর হামলা মামলাতে ।


আগেরকার দিনের সেই মাবাবা
অশিক্ষিত ছিল কিন্তু ছিলনা এমন হাবাগোবা
তারা সন্তানদের ঠিকই চিনিয়েছিল আল্লাহ্ রসূল কাবা ।
এখনকার এই উচ্চ শিক্ষিত মাবাবা
শুধু হাবাগোবা না যেন অন্ধ প্রতিবন্ধি কালাবোবা
অথবা নিজ সন্তানের জীবন ধ্বংসকারী অসুর হয়তোবা !


রচনাকালঃ- বিকাল ৪.২৭টা, মঙ্গলবার, ৪ মাঘ ১৪২৮, ১৮ জানুয়ারি ২০২২, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা ।