পুড়ছে পৃথিবীর পুরোটা ফুসফুস
পুড়ছে সেই আমাজন ।
পুড়ছে না তো কোন জংগল ওটা
হে বিশ্বের জনগণ.........  
পুড়ছে যে সব তোদেরই স্বজন !


কোন উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত ছাড়া
অত বড় বন পুড়ে হয় কি সারা ?
যেভাবে হোক তাকে বাঁচা তোরা
বাঁচাও গো সেই বন ।
এত বড় দুনিয়াটাতে রে ভাই
তোদের একটাই তো যক্ষের ধন !


ঐ বনটি পুড়ে মনটি ভরে কেউবা
সেথায় কিছু করবে নির্মাণ ।
দুর্জনেরা তাইতো বুঝি মোহাবিষ্টে
জ্বালিয়েছে লোভের লেলিহান !
ঐ দস্যু বেনিয়াদের চাই শুধু টাকা
ওরা নির্দ্বিধায় এমন অমুল্য সম্পদ-  
রাজি করে দিতে পারে ফাঁকা ।  


যা হবার তা তো হয়ে গেছে ভাই
বিলকুল পুড়ে ছাই.................
তবুও ঐ পোড়া বনে তোরা
করতে দেবে না কোন আয়োজন ।
আবার যেন সবুজে শ্যামলে বনের
জায়গায় হয় সাবেক সেই বন ।
এ ছাড়া না ফেরার কর মরণ পণ ।
নয়তো সহসা সবে মরবে তোরা
অচিরেই মরবেও তোদের প্রিয়জন ।  


কারণ,
ঐ এক বনই বাঁচাতে তোদের
বিশ ভাগ প্রানশক্তি একাই করে যে
নীরবে নিরন্তর নির্গমন !


রচনাকালঃ রাত ৮.৫২টা বুধবার, ১৩ ভাদ্র ১৪২৬,
২৬ জিলহজ ১৪৪০, ২৮ আগস্ট ২০১৯, মিরপুর, ঢাকা ।