স্বনামধন্য ঐতিহ্যে অনন্য
বিশ্ব জোড়া তোমার খ্যাতি !
তুমি অকুতভয়ী বীর বিক্রম
দুর্জয়ী বিজয় এনেছ যে রাতারাতি !
শিল্পেও তুমি অতি পারঙ্গম মিহি
মসলিন তার ঐতিহাসিক স্মৃতি !
রনে বনে কঠোর তুমি কিন্তু,
আতিথিয়েতায় বেজায় কমলমতি !
মানবিকতায় সদা সজাগ তুমি
ধর্মপ্রাণ, স্রষ্টাতেও প্রখর অনুভূতি !
মেধায় মননে সৃজনে বচনে
অপার সম্ভাবনার তুমি বাঙালীজাতি !
অথচ আজ বিরূপ সাজ সেজে
কেন তুমি বনে গেছ সার্কাসের হাতি ?
বিশাল বপুধারী হয়েও বশ্যতা
মেনেছ পিশাচের, ভুলেগেছ বংশজ্ঞাতি ?
অসার দেহধারী কটা যাযাবর,  
তোমায় দিয়ে দেখাচ্ছে কেরামতি !
মননে মগজে গেঁথে গেছে তোমার
আজীবন দাসত্ব করার নিয়তি ?
সরল মনে কুলাঙ্গারকেও প্রভু বানিয়ে,
বারেবারে টেনে এনেছো যত দুর্গতি।
মুক্তির পথ খোঁজার যেন আর
তোমার নেই কোন সম্মতি !
ফলে তারাই তো বংশ পরম্পরায় করবে
শাসন পিতা সন্তান নাতি !
তারা মসনদে বসে স্বপ্ন দেখিয়ে,  
করবেই নির্জলা মিথ্যার বেসাতি ।
দিনে দিনে তোমার বাড়বে কষ্ট,
সহসা আসবে আরও করুন পরিণতি ।
ভুখানাঙ্গায় জীর্ণ শীর্ণ করবে তোমায়,
তবুও তারা শুনবে না কোন আকুতি ।
তাই,
তেলেসমাতি করনা ঐ পিশাচদের আর
ঠকোনা বারবার হইও না আত্মঘাতি.........।
সময় থাকতে উঠো গর্জে
পদপিষ্টে মারো ঐ সব যত ভণ্ড সমাজপতি ।
মুক্ত হয়ে দেখ স্বীয় সক্ষমতা..............
এখনো কত অবশিষ্ট তোমার দুর্জয়েও গতি !