বাংলা ভাষা - সাহিত্য কবিতা ও গানের ভাষা । প্রকৃতির ভাষা । চাষা জমিদারের ভাষা । এ ভাষা বড়ই প্রাঞ্জল । যেন ঝর্ণার মত গতিশীলতায় চলে ছলছল । ভাষার এই প্রাঞ্জলতা । স্বভাব সুলভেই সৃষ্টি করে কবিতা । তাই বাংলা ভাষায় সহজেই হয় হৃদয় স্পর্শী কবিতা নির্মাণ । যে কারণেই বুঝি বাঙালির কবিতার প্রতি এত টান । আমাদের বাংলা কবিতা ডটকম তা আবারও করল প্রমাণ ।


যুগ বদলেছে দুনিয়াও বদলেছে। তাই প্রযুক্তির সাথে যারা তাল মিলিয়েছে; তারাই টিকে আছে । কিছুকাল আগেও মানুষ কবিতা সাহিত্যের প্রতি যেন মুখ ফিরিয়েছিল । কিন্তু এখন দেখা যায় অন্তত আমাদের এই বাংলা কবিতায় যেন পাগল পারা হয়েছি সবায়, তার কারণ আমাদের প্রিয় এডমিন তার দূরদর্শিতায় এবং প্রযুক্তির বদান্যতায় কবিতার জগতে যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিল !  


আজকালকার মানুষেরা বলে, কবিতা সাহিত্য এবং কবিরা নাকি সেকেলে ! কিন্তু দেখুন তো আমাদের বাংলা কবিতার কোন কবিকে কি সেকেলে বলা চলে ? যেমনি একেক জনের আকাশ ছোঁয়া যোগ্যতা । তেমনি তাদের কর্ম দক্ষতা এবং সার্বিক অভিজ্ঞতা আর আধুনিকতা । অথচ বাংলা কবিতার প্রতিই তাদের প্রত্যেকের যেন প্রথম প্রেম । আর এই বাংলা কবিতা ডটকম গড়ে দিয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য বিচরণের এক অভিনব ফ্রেম ।


তাইতো হেথায় সবাই হয়েছি কবিতার প্রেমে পাগলপারা । কে কত রাখবো হেথা অবদান আমরা সবাই তাতে মাতোয়ারা । আসলে নিখাদ ভালোবাসার জন্যই মানুষ যতটা আবেগ প্রবন হয় । ততটা আর কিছুতেই নয় । এই সাইটটির আরও আরও সমৃদ্ধি ঘটাতে তাই অনেক সময় অনেককেই এমন খুবই উৎসাহিত হতে দেখা যায় । কিন্তু সঠিক পর্যবেক্ষণ বিনা তিনি মুল্যায়িত হন না সঠিক অভিধায় ।


ক’দিন আগেও আমরা অতি উৎসাহী হয়ে বাংলা কবিতার আরও জমজমাট আসর করতে করেছিলাম তড়িঘড়ি কমিটি গঠন । কিন্তু বিষয়টি আসলে আমাদেরই বাড়াবাড়িতে কেউ হয়ে উঠে সন্দেহ প্রবন । যদিও হেথায় আর্থিক লাভালাভ কিছুই নেই শুধু অর্থ গচ্চা ছাড়া । তবুও আমরা ক’জন ছিলাম এর বর্ণাঢ্য আয়োজন উৎযাপনের স্বপ্নে আত্মহারা । যেহেতু তাতে ছড়াল কিছু গন্ধ । তাই তা রাখলাম কিছুকাল বন্ধ ।


এবার বার্ষিক কবিতার সম্মেলন ঘনিয়ে এলে ।  আবার উৎসাহের দোলা দিল অনেকের দিলে । এল এবার বাংলা কবিতার আরেক মজনু শ্রদ্ধেয় কবি ফারহাত আহমেদ । এবার অনুষ্ঠানটি তার মতে হওয়া চাই দারুণ আকর্ষণীয় কিন্তু নির্মেদ । তিনি সম্মানিত পুলিশ সুপার বাংলা কবিতাতেও কবি হিসেবে সুপার । অনুষ্ঠানটি ঘিরে অশেষ আবেগ উচ্ছ্বাস তার । একাই তিনি দিলেন হেথা অর্ধ লক্ষের বেশী অনুদান । কবিদের পক্ষ থেকে বদান্যতার এ এক বিশাল অবদান । সার্বক্ষণিক করছেন পুঙ্খানুপুঙ্খ তদারকি । অনুষ্ঠানটি শতভাগ সফল করতে কিছুই থাকেনা যেন বাকি আমরাও কেউ যেন দেই না ফাঁকি ।


অপরদিকে আমাদের শ্রদ্ধেয় কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল । তিনিও অনুষ্ঠানটির সাফল্য কামনায় থাকেন সদা মশগুল । দিতে চেয়েছেন বেশ কিছু টাকা । তাই দেখছি টাকার জন্য থামবে না আর বাংলা কবিতার আসরের চাকা । শ্রদ্ধেয় কবি কবীর হুমায়ূন । তারও
আছে খুঁটিনাটি দেখভালের বহুগুণ । বাংলা কবিতার আরেক দিওয়ানা বহুমুখী প্রতিভাধর কবি পলক রহমান । প্রতিদিনই খোঁজ খবর রাখছেন সফল হতে অনুষ্ঠান । সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলা কবিতার অনন্য শুভাকাঙ্ক্ষী খলিলুর রহমান । নিরবে নিভৃতে এ যাবত রেখে চলেছেন অনেক অবদান । এমনিভাবে কবি জাহিদ হাসান রঞ্জুর নেতৃত্বে সর্বকবি আফরিনা নাজনীন মিলি, মোজাম্মেল হোসেন, নায়ার সুলতানা লাবনী, রুনা লায়লা, হুমায়ূন কবীর, উত্তম চক্রবর্তী আর আমি দিল খোলা চাঁছাছোলা চেষ্টা করে যাচ্ছি অনুষ্ঠানটি শতভাগ করতে সফল । আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা দোয়া ও আশীর্বাদ থাকলে হবো না বিফল । তাই মাঝে মাঝে যতটুকু হেথা বিভ্রাট হয় তা অতি ভালোবাসারই জন্য । সত্যিই কবিতা সাহিত্য তথা বাংলা কবিতা ডটকমের প্রেমে পড়ে সবাই হয়েছি ধন্য ।


স্মর্তব্য- বাংলা কবিতার আসরের বাংলাদেশে যারা নিরবে নিরলসভাবে অদ্যাবধি কাজ করে চলেছেন কোন কিছুর প্রাপ্তির আশা ছাড়াই । আসন্ন ১৫ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ স্বরূপ আমি ব্যক্তিগত ভাবে আজ তাদের নাম উচ্চারণ না করে নিজেকে একটু অপরাধীই মনে হচ্ছিল । অনেক ব্যস্ততার মাঝে খানিক ফুরসতে তাদের নিয়ে আমি নিজে থেকেই একটা মূল্যায়ন করার চেষ্টা চালিয়েছি তড়িঘড়ি করে । এখানে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন কিংবা প্রতিপাদ্যে আনার হীন চেষ্টা আমি করিনি । কখনোও করি না। তাই আমার লেখায় কোন ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করবেন । আমি চাই যেই এখানে নিঃস্বার্থে স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে কিছু করবে তাকে তাকে আমরা সবাই যথাযথ মূল্যায়ন করার চেষ্টা করবো । তা না করলে ঐ ব্যক্তি নিরুৎসাহিত হলে আমরা এই ভালোবাসার জায়গাটার ক্ষতিই করলাম বৈ কি । একটু বেশী সময় নেওয়ার জন্য আবারও ক্ষমা চাচ্ছি । ধন্যবাদ সবাইকে ।


রচনাকালঃ রাত ৯.২৬টা সোমবার ১০/০২/২০২০ মিরপুর, ঢাকা ।