( আমার আত্মার আত্নীয় অতি প্রিয়কবি সঞ্জয় কর্মকারের "বাংলা মায়ের রক্ত নেশা" কবিতাটি পাঠে আবেগ সংবরণ করতে না পেরে ভীষণ আপ্লূত হয়ে পড়ি । তার অনুরণনে এই কবিতা এটি সেই মহৎ প্রাণ মানুষটিকে উৎসর্গ করলাম । )  


ওরে এই বাংলা মোদের কতনা জনম দুঃখীনি মা
তোরা আর কেউ তার কিঞ্চিতও অনিষ্ঠ করিস না ।
তোদের ধরি দুটি পা ওরে যত বাংলার সন্তান
এই মায়ের বিন্দুর বিনিময়ে আমিই দেব রে প্রাণ ।
তবুও এই মাকে আর করিস না রে অপমান ।
কেউ করিস না যেন তার আর এতটুকু ক্ষতি......
আজও দেখনা মোদেরই বাঁচাবার কত তার আকুতি !  
তার জমানো দুখধন সবে করে চলেছে লুণ্ঠন
তবুও হাসি মুখে অপার সুখে বুকে আগলে রাখে
ঐ বুকে নির্ভারও থাকে তার কোটিকোটি সন্তানগন !  
চারিদিক সবে মুখিয়ে আছে তার সবি কেড়ে নিতে  
তোরা তারি সন্তান হয়ে পারোনা একটুও সুখ দিতে ?
কে আর আছে রে অমন তোদের মত এত ধার্মিক ?
বল, স্বজাতি-স্বদেশের তরে বিশ্বাসঘাতকতা করে
সম্পদ লুটে ভিনদেশে নেয় কোন দেশের নাগরিক ?
জোর হাত মিনতি করি স্বদেশের সাথে কেউ আর
না করি অপরিণামদর্শী গাদ্দারি,  
বাংলার কোন গাদ্দার আস্ত থাকেনি বেশী দিন
স্বজন সম্পদ হারিয়ে আহা করেছে কতনা আহাজারি !
তাই স্বদেশের ধন লুটে হইও না ভিনদেশী যাযাবর
সময় থাকতে স্বদেশ প্রেমে স্বীয় বিবেককে বাধ্য কর ।
ওরে সব আবাল বৃদ্ধ বনিতা যুবা প্রৌঢ় কচিকাঁচা
পরদেশের প্রীতি ভুলে সবে বাংলা মাকে এবার বাঁচা ।


রচনাকালঃ- রাত-১১.০৬টা শনিবার, ২০ আষাঢ় ১৪২৭,
১২ শাওয়াল ১৪৪১, ৪ জুলাই ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।