মূমূর্ষ এক কন্যা সর্বনাশী বন্যা তারে প্রবল
স্রোতে নিয়ে যাচ্ছিল যখন ভেসে ।
উদ্ধারকারী যুবা পুরস্কৃত না হয়ে তিরস্কৃত
হল তার শরীর স্পর্শের দোষে ।
মরে গেলে সে যেত মরে তাতে তার কি
বা আসে যায় ?
কি এমন তার অপরাধ যুবা তো কিছুই
আর ভেবে না পায় ।
হায় হায় করতে করতে সে পাগল প্রায়
হওয়ার হয়েছে সামিল ।
সচ্চরিত্রবান হয়েও কুচরিত্রের অপবাদে
যে পুড়ছেে তার দিল ।
মৃতপ্রায় কন্যাকে সেবা শুশ্রূষায় দেখালো
যে নতুন জীবনের আলো ।
দোষের মধ্যে দোষ তার তাকে বেসেছিল
সে নিজের চাইতে ভালো ।
সমাজ যাকে পারেনি বাঁচাতে সেই যুবকই
তখন বাঁচিয়ে তুলেছিল ।
তাকে জীবনসঙ্গী করতে চাইলে কন্যা রাজি
না হয়ে ঐ সমাজেরই দোহাই দিল ।
যুবার দেখা এমন অপরূপা স্রষ্টার ইঙ্গিতে
তার হাতেই যখন পেল মুক্তি ।
স্রষ্টা যে স্বয়ং তাকে তার জন্যই পাঠিয়েছে
যুবা মানেনা এর ভিন্ন যুক্তি ।
সদ্বংশীয় ঘরের সন্তান হয়েও দুঃচরিত্রবান
বলে যুবাকে করল সন্দেহ ।
কিন্তু সমাজ রক্ষার খাতিরে স্বীয় সমাজের
লম্পটকেই কন্যা দান করল দেহ ।
তাতেই কন্যা মহাসুখে সংসার পেতে করছে
যখন জবরদস্তি মৌজ মাস্তি ।
তা দেখে যুবা দুঃখের দরিয়ায় ডুবা হতভাগ্য
বলে- হে প্রভূ কেন দাও মোরে এ শাস্তি ?
রচনাকালঃ রাত ১১.০৩টা, বৃহস্পতিবার, ১৪ শ্রাবন ১৪২৮, ২৯ জুলাই ২০২১, মিরপুর, ঢাকা ।