সহদোররা তার দিগন্ত বিস্তৃত ডালপালা মেলে
প্রকৃতির সাথে মিতালী পেতে আকাশ ছুঁতে বাড়ছে ধাই ধাই ।
ওদের আদুরে অন্য ভাইটি খেয়ালীর নজর কেড়ে
ছোট্টটিই থাকার যোগার হয়েছে বটে তার পুরোটা জীবদ্দশাই।


নান্দনিক শিল্পকলার খেয়ালীপনার ফাঁদে পড়ে
প্রাণও হয়েছে যেন প্রানহীন ছবির মত কঠিন ফ্রেমেতে বাঁধাই।
অধিক আদরের বিড়ম্বনায় স্বাবলম্বিতার কারো
হয়না যে বিকাশ, ঐ ছোট্ট চারাটিরও আজ হয়েছে ঠিক তাই ।


কোমল হৃদয়বানের নিষ্ঠুর হাতের কারুকার্যে
ভুবন মোহিনী মহীরুহ না হয়ে সে বনেগিয়েছে এক বনসাই !  
অভিজাত বনস্পতির এই কুঠুরি নিবাস দেখে
অঝোরে কেঁদে কেটে বিলাপ করছে তারই জ্ঞাতির সব ভাই ।  


ওরে হতভাগা স্রষ্টার বিশাল এই পৃথিবী পৃষ্ঠে
তোমার একটুও কেন হল না রে মাটিতে শিকড় পোঁতার ঠাই ?  
তার নেয়ামত মাটি পানি পুষ্টি আলো বাতাস
আরও কত কিছু যে আমরা না চাইতে বিনা পয়সাতেই পাই !


কিন্তু তোমার একি হাল হল রে ভাই, খেয়ালীর
খেয়ালে খেয়ে দেয়ে বাঁচবে তুমি না হলে কিছুই করার নাই !  
কোন দিন মনিবের বেখেয়ালে ধুঁকেধুঁকে মরে
পড়ে থাকবি রে সেথায়, আমাদের গোচরে সম্পূর্ণ অজানাই ।


যে মানুষের সেবায় সৃষ্টি মোদের, শুধু নিশ্চল
বোবা হওয়ায় কি থাকবো চিরকাল তাদের এমন অবহেলাই ?
এই ছেলে খেলা থেকে আমরা মুক্তি চাই মুক্তি চাই
ঐ দানবরূপী মানবের হাত হতে প্রভু মোদের দাও গো রেহাই ।।  


রচনাকালঃ- শুক্রবার ১৫/১১/২০১৬
সেগুন বাগিচা , ঢাকা ।