শখের ক'টা চারা কিনেছিলাম
গত বছর বৃক্ষ মেলা হতে ।
কিন্তু মহা ব্যস্ততার অজুহাতে
তা পারিনি টবেই লাগাতে ।
করোনায় ব্যস্ততার অজুহাতের
এবার কেটে নিল হাত ।
পরিবারের সবার জন্যেই যেন
তা হয়ে গেল বাজিমাৎ ।
শুয়ে বসে থাকার জ্বালা মেলা,
রুগী ছাড়া কেউ কি থাকে ?
বাধ্য হয়েই যে ঘরের খুঁটিনাটি
কাজ করছিও ফাঁকে ফাঁকে ।
ভার্চুয়াল নেশায় অবনত শিরে
থাকা তো প্রকারান্তে দাসত্ব ।
শুধু শ্রোতা দর্শক হয়ে থেকেই
সবে হারাচ্ছি যেন ব্যক্তিস্বত্ব !
তাই লকডাউনের সাথে সাথেই
চারাগুলো লাগালাম টবে ।
আহা, রুগ্নরাও টগবগিয়ে উঠল
যেন মাতিয়ে দিয়েই সবে !
গোলাপের প্রলাপ বাদেও বেলী
রাজবেলী, এরোমেটিক জুঁই ।
টইটুম্বুরে ফুটে সবাই সহাস্যেই
বলে আহা, কত ভালো তুই !
রজনীগন্ধাসহ কিছু অজানা নানা
ফুলেভরা বর্ণিল ব্যালকনিতে ।
দিনে কতবার যে ছুটে ছুটে যাই
বুকভরা ঘ্রান আর প্রাণ পেতে !
একটুখানি মমতা পেলে ওরাও
মালীকে করে কত দোয়া।
বেশী কিছুও চায় না তারা শুধু
স্বল্পযত্ন আর হাতের ছোঁয়া ।
ফুল ও সবুজের সান্নিধ্যে এলে
উবে যায় যত একঘেয়েমী ।
নিত্যদিনে খানিক সময় ও শ্রমে
কাটে বেলা ভাগে আলসেমি ।
আমরা যারা নানান কাজে সদা ব্যস্ত থেকে জীবন যাপনে অভ্যস্ত । এই আচানক লকডাউন একটা বোরিং বিরক্তিকর ও একঘেমী সময় এনে দিয়ে জীবনকে দুর্বিষহ করে দিয়েছে । তারা যার যার এমন ব্যালকনি ছাদ বা বাড়ীর পাশে এক চিলতে জমিতে বৃক্ষ বন্ধুদের সাথে সখ্যতা গড়া, নির্মল বিনোদন তথা শরীর চর্চার উত্তম অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন এই অবারিত সময়ের ফাঁকে ।
রচনাকালঃ- রাত ৮.৪৪টা সোমবার, ২৮ বৈশাখ ১৪২৭,
১৭ রমজান ১৪৪১, ১১ মে ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।