অতীত...............  
কারো কারো আছে শুধুই গালগল্পের বিলাসিতার পীরিত,  
বলে জানো আহা ! কি সুন্দর ছিল মোর সোনালী অতীত !
এই গ্রীষ্মকাল কি জঞ্জাল ! কত না ভালো ছিল এলে শীত !
না বর্তমান না ভবিষ্যৎ এরা আজীবন গায় অতীতের গীত ।


বর্তমান...............
কি দারুণ রৌদ্র ঝলমল গ্রীষ্মকাল এরও অনেক অবদান !  
যারা বলে পাকবে আম জাম লিচু কাঁঠাল সবি প্রভুর দান !    
সর্বাবস্থায় করে যারা শুকরিয়া আদায় হলেও ওষ্ঠাগত প্রাণ,  
হ্যাঁ, দুনিয়ায় এরাই তো সেরা জ্ঞানী, এরাই তো বুদ্ধিমান !


ভবিষ্যৎ...............
এমন গ্রীস্মকালে কিছু না করি, আসুক নাতিশীতোষ্ণ শরৎ  
শরৎ এলে বলবে এখনই না, একটু শীত আসুক না ঈষৎ
এমনি করে হায় ! একে একে সবকাল আসে যায় আলবৎ
তাদের আসে না আর কোন দিনও কাঙ্ক্ষিত সেই ভবিষ্যৎ ।  


অতীতের গীত গাওয়াদের নাই যে কোন স্বপ্ন কিংবা স্বাদ
শুধু হতাশায় জীবন করে বরবাদ, অকালে আনে অবসাদ ।
যথার্থ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিপুণ চিত্রায়নে বর্তমানে বাঁচি  
শুকোর গুজারি হয়ে প্রভুরও বদান্যতা পেয়ে মনান্দে নাচি ।  
ভবিষ্যতের আশায় শুধু তাকিয়ে থাকাদের আসেনা সুদিন
বর্তমান মূল্যায়নকারীরাই সাফল্যের শিখরে হয় সমাসীন ।


রচনাকালঃ- রাত ১১.৪৭টা শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪২৭,
২৬ শাওয়াল ১৪৪১, ১৯ জুন ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।