কারবালার সমরনীতি ভঙ্গ আর নৃশংসতা পৈশাচিকতার সেই নিদারুন ইতিহাস,
যারা করে না বিশ্বাস, আমি চাই না তাদের  
উপর প্রকৃতি করুক নির্মম পরিহাস ।
যারা সেদিন দেখে নাই সেই বিভীষিকাময়
নির্মম নিষ্ঠুর হৃদয় বিদারক কারবালা,
তারা আজ ত্রিনেত্র মেলে দেখ নরপিশাচ
ইসরায়েল আমেরিকানদের ছেলেখেলা ।
যারা প্রতিদিন ফিলিস্তিন সহ বিশ্বের বহুত
দেশে শক্তির মদমদ্দতায় ঝরায় রক্ত,
তাদের অন্যায় অবিচারের কোন প্রতিবাদ
না করে বরং তাদেরই হচ্ছো অন্ধভক্ত ।
তা না হয় মানছি; যেহেতু সেটা নাকি ছিল
অন্ধকার যুগের বর্বরদের কল্প কাহিনী ।
তবে তোদের সুসভ্য যুগে কেন নিরস্ত্রদের
উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ঐ সশস্ত্র বাহিনী ?
সর্বস্ব হারিয়ে দীর্ঘদিনের অনাহাীরা যখন
প্রাণপণে ছুটে আসে নিতে সামান্য ত্রাণ ।
তখনও তোদের এই সভ্যতার অত্যাধুনিক
মারণাস্ত্রগুলো ঝাঁঝরা করে তাদের প্রাণ ।
দিনে কি রাতে উপাসনালয় চিকিৎসালয়
কোনকিছুই নয় তাদের জন্য নিরাপদ ।
তোদের মতো সভ্য দাবীদাররা যখন বনে
যাও প্রযুক্তি দক্ষ জানোয়ার আর স্বাপদ ।
উপহাস করে হামেশাই বল মোহাম্মদ ও
তার অনুসারীরা জঙ্গি যুদ্ধবাজ ।
ঐ কাঠের চমশাটা খুলে দেখ আগ্রাসনের
মোহে কারা যুদ্ধ করে চলেছে আজ ।
হ্যাঁ এরাই সেই সুদূর অতীত থেকে আজও
অব্দি রক্তাক্ত করে চলেছে কারবালা ।
ধ্বংস করল ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান,  
সিরিয়া জানি না এরপর কার পালা....


রচনাকাল:- রাত ১১:৫৫টা, শনিবার, ৫ জুলাই  ২০২৫, ঠাকুরগাঁও,  বাংলাদেশ ।