জাতিগত ভাবে মোদের মুলত বুঝি দোষ ঐ একটাই
জানিনা কেন যেন হয়েছি বড় হুজুগে বাঙ্গাল সবাই।
এ ভুতটি ধরলে সবাই আলবত হয়ে যাই আত্মবিনাসী।


দুস্য ইংরেজদের শাসনকালে গিয়েছি জাতিসত্তা ভুলে
তাদের শেখানো সেই চালে পাল্টাতে চেয়েছি সমূলে।  
স্বদেশী চেতনায় তখন মোরা হয়েছিলাম বড়ই উদাসী।  


বলতাম যাহা কিছু বিদেশী তাহাই সবচেয়ে ভালো
দ্রুততার সাথে কথাটি সবারই মুখে মুখেও ছড়ালো।
বুঝে না বুঝে করেছি সে কাজ সর্বদা হলেও সর্বনাশী ।


দিনে দিনে ঐ দুস্যদের উদ্ভট কৃষ্টি-কালচারের প্রতি
সাথে বাড়ল যখন মোদের বেশী বেশী বিদেশ প্রীতি।
সব কিছুতেই খুঁজেছি তখন বিদেশী বিদেশী বিদেশী।


অতঃপর প্রকৃতির বিচারে আমরা হলামও দোষী সাব্যস্ত
দেশী পণ্যের জন্য তাই হলাম আজ বেজায় অভাবগ্রস্ত।
লুপ্ত হল শাপে দেশী শস্য-ফলমূল হাস-মুরগী গরু-খাসি।


প্রানান্ত প্রচেষ্টায় ফেরাতে সেই প্রাচুর্য আর অমৃত স্বাদ
কত শ্রম অর্থ সময়ের সবাই এখন করছিও বরবাদ।
বিদেশী পণ্য সস্তা এখন তবুও যেন দেশীর দামই বেশী।


যদিও এখন সবে স্বদেশী চেতনায় সব করতে ভালবাসি
দেশের উন্নয়নে লিপ্ত দেশী প্রযুক্তিবিদ-উদ্যোক্তা-চাষি
এটাই শুভলক্ষণ যত দ্রুত স্বদেশী মূল্যবোধে ফিরে আসি।


আসলে মোদের দেশেরই পণ্য গুনে মানে স্বাদে অনন্য
এ দেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি জন্মেও মোরা ধন্য।
আর যেন চড়া মূল্য দিতে না হয়, হয়ে বিদেশী অভিলাষী।


রচনাকালঃ- রাত ৯.১০ টা শনিবার
১৪/০৪/২০১৮ মিরপুর ঢাকা ।