আমার দুঃখিনী দেশমাতা হারাল অমুল্য রতন,  
বঞ্চিত হল জনগণ, আশাহত এক পরিবার ।
লাখো মায়ের গর্ভেও হয়না জন্ম যে জাতকের
এমনই ক্ষণজন্মা এক নক্ষত্রের নাম আবরার ।


এই উর্বরা জমিনের দেশে, এমন ত্রাতা বেশে  
জন্মে আবরার আহা কত না হাজার হাজার ।
তারা সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের নিরাপদ বেষ্টনীতে
পড়লেও কোন নিরাপত্তাই দেয় না সরকার !  


আহা ! ব্যথিত মোদের মন এক নক্ষত্রের হল  
পতন, তাতে কি, কেইবা নেবে এই দায়ভার !  
ওরা মরবেই, মরুক কি যায় আসে, এই দেশে
ওদের কে দিয়েছে বাক স্বাধীনতার অধিকার ?


যতই বা মেধাবী হোক না তারা তাদের বাঁচার
নাই তো অধিকার, যদি না হয় দলীয় চাটুকার ।
ওগো মায়েরা আমার, জন্ম দিওনা কোন সন্তান
তোমার না হলে চাটুকার, পাছে কেঁদোনা আর ।  
        
রক্ষকের বেশে ভক্ষকের বন্দুকের নলের সামনে
তোমার আদরের সন্তানকে কে করবে উদ্ধার ?
যদি পারো সন্তান জন্ম দাও এমনতর যে পারবে
ঐ কালো হাত ভেঙ্গে করতে চুরমার...ছারখার ।
নইলে আর জন্ম দিও না অমন আবরার.........।


রচনাকালঃ- বিকাল ৫.০২টা, ২৭ আশ্বিন ১৪২৬,
১২ সফর ১৪৪১, ১২ অক্টোবর ২০১৯, মিরপুর, ঢাকা ।