বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সিডর হয়েছিল যখন
নিশ্চিহ্ন হয়েছিল কত গাছপালা হাটবাজার জনবসতি
ত্রান নিতে এক কাতারে একাকার হয়েছিল যে তখন
এলাকার যত চাষাভুষা শিক্ষক চিকিৎসক সমাজপতি ।
ত্রান বিতরণের কালে দেখলেন আগত এক কর্মকর্তা
ঐ দূরে এক মুরুব্বী লজ্জায় হয়তো করছেন পায়চারি
ভাবলেন কর্মকর্তা তিনি বোধহয় ছিলেন সম্ভ্রান্ত নেতা
হেথা আসছেননা দেখে নিজেই এগোলেন তাড়াতাড়ি ।


চাচা আপনি হয়তো লজ্জায় নিতে চাচ্ছেননা এই ত্রান
অনেকগুলো বেঁচেও গেছে নাহয় আমরাই দিয়ে আসি
মুরুব্বী তৎক্ষণাৎ বলে উঠলেন না বাবা এত সর্বনাশী
না আমার তা লাগবেনা ওসব বরং অন্যত্রই নিয়ে যান ।
বলেন আমি নিতে নয় দেখতে এসেছি ত্রান কে নেয়না  
কারণ, কেউ গ্রহিতা হলে তিন পুরুষও যে দাতা হয়না ।


রচনাকালঃ বেলা ১১.৪৪টা, ১৮ চৈত্র ১৪২৬,
৭ শাবান ১৪৪১, ১ এপ্রিল ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।


একটি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে এই কাব্য রচনা । আসলে আমরা সহসাই গ্রহিতা হতে চাই কিন্তু এর পরিণাম যে কত ভয়াবহ তা কখনো চিন্তা করিনা । তাইতো দেখা যায় সমাজের একটা শ্রেণী কোনভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হলেও কিঞ্চিৎ দান খয়রাত করতে সাহসী হয় না । অথচ দান না করলে ঐ সম্পদও সে বেশী দিন ধরে রাখতে পারবেন না । তো সুহৃদ কবি ও পাঠককুলকে অনুরোধ করছি করোনা ভাইরাসের কারণে এই লক ডাউন পরিস্থিতিতে মানুষ ঐ ভাইরাসের চাইতে বেশী বিপদে পড়েছে খাদ্যাভাবে । তাই আমাদের যার যার চারপাশে একটু খোঁজ খবর রাখবো কার ঘরে খাবার নেই এবং সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবো । সবাইকে ভালো রাখলে সবাই ভালো থাকবো এই আশবাদ ব্যক্ত করে ধন্যবাদ সবাইকে ।