হরতাল.............!
অবরোধ। হরতাল !
আর কতকাল ?
জনতা পোহাবি এই জঞ্জাল ?
কতকাল বিবেক বন্ধক দিয়ে থাকবি
অন্ধঅনুসারী হয়ে বদ্ধ মাতাল ?


কবে হবে শেষ গণতন্ত্রী তামাশার
তোমার এই আরাধ্য শাসনকাল ?
আজব এই শাসন ব্যবস্থায় বৈধ নাকি
সর্বনাশা অবরোধ আর হরতাল ?
গুটি কয়েক ভণ্ড ক্ষমতায় যেতে
চালাবে তাণ্ডব হয়ে উন্মাতাল !


জনতার রক্ত স্রোত বইয়ে দিয়ে
অতঃপর ধরবে তারা দেশের হাল।
ঐ রক্ত গঙ্গায় তরী ভাসিয়ে
তারা ঊড়াবে তখন স্বপ্নের পাল ।
মসনদ দখলের অসুস্থ প্রতিযোগিতায়
জনতার অবস্থা বারেবারেই বেহাল ।


ক্ষমতায় গিয়ে কেঊ করবে স্বজনপ্রীতি
অরাজকতা লুটপাট ষড়যন্ত্র কূটচাল ।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কেঊ পুড়াবে
আপামর জনতার বেহিসাবি জানমাল ।
ক্ষমতায় থাকতে ওনারা বলেছিলেন
বিরোধীদলে গেলে করবোনা হরতাল.....


কথা রাখেনি, লগি বৈঠার তাণ্ডবে
তারা পুড়ো দেশকে করেছিল নাজেহাল ।
ওনারা আর কিছু না পেরে পেট্রোল
বোমায় মানুষ পোড়ানোর দেয় চাল ।
জনতা আজ ভেদিতে পারেনা
গণতন্ত্রী খেলার এই সূক্ষ্ম বেড়াজাল ।


যদিও ক্ষমতার হয় পালাবদল
তবুও জনতা সদা থাকে টালমাটাল ।
কি স্বপ্নে বিভোর হয়ে হে জনতা
কুমীর আনতে কেটেছো খাল !
আমাবস্যায় অযথা চাঁদ খুঁজতে
যেন ঘামাচ্ছ মাথা পাকাচ্ছ বাল ?


গণতন্ত্রে জনগণই তো বলির পাঁঠা
সদাই পুড়ে শুধু তাদেরই কপাল !  
আর অভিনয়ে পটু ভণ্ড নেতা
ধোঁকা মেরে হয় লালে লাল !
অথচ যুগেযুগে জনতা রুটি রুজিটুকুর
জন্যই ধুকেধুকে থাকছে নাকাল ।


এ শাসন ব্যবস্থায় বৈধ যদি
মিটিং মিছিল অবরোধ হরতাল ।
তবে গণতন্ত্রী সরকার তাতে বাঁধা দিয়ে
কেন বাঁধাবে বিষম গোলমাল ?
হরতালে গাড়ী চালাবার নির্দেশ দিয়ে
তারা ঊঠায় নাকি যুদ্ধের তাল ?


তারা তো থাকবেন সুরক্ষিত দুর্গে
এই জনতাকেই বানিয়ে মানব ঢাল !
লাশ ছাড়া গণতন্ত্রে নাকি
প্রতিপক্ষকে করা যাবেনা বেসামাল !
তাই জনতা তুমি পাবে কচূ, কিন্তু......
তোমার সন্তান মরবে আজ হোক কাল ।


সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ওনারা যদি
সবই করতে পারেন হালাল !
তবে আইন পাশ করে কেন
বন্ধ করেনা এই সর্বনাশা হরতাল ?
নাহ.! তা করবে না । ওনারা সবাই  
তালে ঠিক কিন্তু জাতে মাতাল........


রচনাকালঃ- শনিবার ০৭/০২/১৫ ঢাকা ।