বারে বারে ব‍্যবসায়িক বিশাল লোকসান
আমাকে পারেনি মোটেও দমাতে ।
এত এত প্রতারণা এত বঞ্চনা কখনোই
পারেনি আমার উদ‍্যোম কমাতে ।
রোগ শোক জরা ব‍্যধি আমার ভয়ে সদা
থাকতো ঐ দূর তেপান্তরে ।
বিপ্লবী চেতনা সর্বদাই জাগ্রত থাকতো
আমার নির্ভিক অদ‍ম‍্য অন্তরে ।
চির তারুণ‍্য আমার এই শরীরের প্রতিটি
কোষে কোষে করত যে বিরাজ ।
আমি যেন হতাম একদিন আমার স্বপ্নের
সোনার রাজ‍্যের রাজাধি রাজ !
কিন্তু আজ, তোমাকে হারিয়েই হারিয়েছি
সব, যেন হয়েছি কত কালের রোগী ।
উহ্ ! এমনতর অবস্থায় কোন মানবেরই
সন্তান আর যেন হয়না ভুক্তভোগী ।
অথচ সব হারিয়ে তোমায় পেয়েই আমি
তো পেয়েছিলাম সাত রাজার ধন !
তুমি মানিক রতন, কেমনে করি নিজের
যতন ? ভেঙ্গে চুরমার হল যে এ মন !
এখন কেমনে বা কাটাবো আমি আমার
স্বপ্নহীন এই বাকি জীবন কাল ?
যে আমি কোথাও হারি না সেতো এখন
উঠেই দাঁড়াতে পারিনা, অবস্থা বেহাল ।
অসুস্থ শরীরে কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে
চাইনা আমি আর এই নিষ্ঠুর ভবে ।
প্রতিটি ক্ষন আমি যে এখন গুনছি প্রহর
আমার সুখের মৃত‍্যুটা আসবে কবে ?
হে অভিমানী, শোন এই বানী যদি আর
নাইবা এসো ফিরে আমার স্বপ্ন কুটিরে ।
তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজান্তে দোয়া কর
সুস্থাবস্থায় আমি আজি যেন যাই মরে....


রচনাকালঃ- রাত ৮.১৫টা, ৯ বৈশাখ ১৪২৮,
১০ শাওয়াল ১৪৪৩, ২৩ মে ২০২১, মিরপুর, ঢাকা ।