যত গুনীজন মানিক রতন জন্মেছিলেন এই বাংলায়
তন্মধ্যে উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন রাজা রামমোহন রায়  ।
বাল‍্যকাল হতেই তিনি ছিলেন প্রতিভাত বিদ‍্যানুরাগী
ভারতবর্ষ চষে বেড়িয়ে তিব্বতেও যান বিদ‍্যার লাগী ।
আরবী ফার্সি উর্দূ হিব্রু ইংরেজিতে হয়েছিলেন দক্ষ
দিল্লীর বাদশাহও তাঁর কৃতিত্বে সুখী করেন স্বীয় বক্ষ ।
রাজারা ইচ্ছা ও অনিচ্ছায় করে চলে সদা যুদ্ধ বিগ্রহ    
কুসংস্কার হঠাবার যুদ্ধেই তাহার সবচেয়ে ছিল আগ্রহ ।
একাই এ সমাজের কুসংস্কারের ঠেলেছিলেন পাহাড়
বাংলার সমাজটাকে সভ‍্য করতে জুড়িও নেই তাহার ।
বড় ভাইয়ের অকাল প্রয়াণে বৌদিটিরও হয় সতীদাহ
প্রাণপন চেষ্টায় তাকে বাঁচাতে সহায়তা করেওনি কেহ ।
কেঁদে বলেছিলেন বৌদি তোমাকে বাঁচাতে পারলামনা
প্রতিজ্ঞা করলাম আর কাউকে এভাবে মরতে দেবোনা ।
গড়েও তুলেন আন্দোলন নেন ব্রিটিশ আইনি সহায়তা
বন্ধ করতে সক্ষমও হয়েছিলেন ভয়ানক এমন বর্বরতা ।
সতীদাহ প্রথাসহ ধর্মের নামে কত গোঁড়ামী করেন বন্ধ
এক ঈশ্বর বিশ্বাসে একা রুখে দিয়েছিলেন যত ধর্মান্ধ
ক্ষনজন্মা এ মানুষটির সব কীর্তি কবিতায় কি বলা যায়
২২ মে জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালাম আমার সোনার
বাংলার প্রাণ পুরুষ হে মহামতি রাজা রামমোহন রায় ।।


রচনাকালঃ- রাত ১১:৫9টা, রবিবার, ৮ জৈষ্ঠ ১৪২৯, ২২ মে ২০২২,মিরপুর, ঢাকা ।