ন্যায় শাসনের সেই সোনালী দিনের আলোটা নিভাতে
কুলাঙ্গার এজিদ ধরল জিদ শাসনক্ষমতা নেবেই হাতে ।
প্রিয় নবী ( সাঃ ) এর রেখে যাওয়া সেই সত্যের রবি
দৌহিত্র হোসাইন ( রাঃ ) ছিল ইসালামেরই প্রতিচ্ছবি ।


যুগান্তরে ইসলামী আলো জ্বালিয়ে রাখতে সর্ব অন্তরে
জীবন দিয়ে যথার্থ অবদান রেখেছে কারবালা প্রান্তরে ।
জালিমের সাথে আপোষহীন নজিরবিহীন সেই ভুমিকা
স্বৈরাচারীকে কিছুতে না মানার ছিল কঠোর নির্দেশিকা ।


হায় হোসাইন ! হায় হোসাইন ! করছি মর্সিয়া ক্রন্দন
হায় মুসলমান ! আজও তো তাদেরই দিচ্ছ অভিনন্দন !  
নবী ( সাঃ ) নয়নমনির আত্মত্যাগ যে ইসলামের তরে
তোমাদের সেই মেকি মোনাফেকি আজও তার ভিতরে !


এখন সর্বস্তরে যত এজিদ জিদ করে বসছে ক্ষমতায়
হে মোনাফেকের দল, সবি তো তোদেরই সহায়তায় !
তোদেরই জন্য অশান্তি আজ পৃথিবীর প্রতি ঘরে ঘরে
কারবালার ক্রন্দন চলছেই কিন্তু ঢোকেনা ঐ কর্ণকুহূরে ।  


যদি সেদিন তিনি মেনে নিতেন এজিদের শাসনাধিকার
তবে হে মুসলমান তোমার অস্তিত্ব কভু থাকত কি আর ?
তাই মর্সিয়া ক্রন্দন করনা আর শুধু মোনাফেকিটা ছাড়
তবেই আসবে সুখ শান্তি সমৃদ্ধি, তাবৎ এই দুনিয়াটার ।।


রচনাকালঃ- সন্ধ্যা ৭.৩০টা বৃহস্পতিবার    ২৮ ভাদ্র ১৪২৬,
১২ মহরম ১৪৪১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মিরপুর, ঢাকা ।