শতেক বছর পর পর মানুষদেরই দিতে খবর
আসে দেখি এমনতর মহামারী
সত্যের পথে ফিরতে অন্যায় পাপাচার ছাড়তে
প্রভু এভাবেই দেয় যে হুঁশিয়ারি ।
তবুও ঐ সকল মানুষ ফিরে পায় কি জ্ঞান হুঁশ
এখনও যেন বুঝেই না তাহারা
এ শুধুই মহামারী নয় সেই দিনটা কেমন হয়
এত সেই কেয়ামতেরই মহড়া !
ঐ দিন মা সন্তানকে স্ত্রীও সোহাগি স্বামীকে
জান বাঁচানোরই চেষ্টা যার যার
বাঁচাও বাঁচাও বলে আর্তনাদ করবে সকলে
যদিও কিছুতে লাভ হবেনা আর ।
করোনা মহামারীতে ভাই দেখলামও যে ঠিক তাই
যদি স্বজনকেও এই রোগে ধরে
তৎক্ষণাৎ সম্পর্ক ছিন্ন তাকে করেও দেয় ভিন্ন
বেচারা একাকী থাকে মরে পরে ।
কেউই করেনা সৎকার বরং ভয়ে করে চিৎকার
পাছে যদি তাকেও মরতে হয়
যেন মরবেনা কোনদিন রবে চিরকালই সমাসীন
তাই শক্ত কপাট লাগিয়ে রয় ।
সেদিন চাইবে মরতে পারবেনা যে তা করতে
শান্তি খুঁজবে গো ঐ মরণেই
অনাদিকাল পুড়ে পুড়ে যন্ত্রনায় যাবেও কুঁকড়ে
চাবে শুধু মৃত্যু যা আর নেই ।
রচনাকালঃ- রাত ৮.৫৬টা বুধবার, ২৩ বৈশাখ ১৪২৭,
১২ রমজান ১৪৪১, ৬ মে ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।