ত্যাগের নজির রয়েছে যাহা;
শ্রেষ্ঠ তাহা এই ঈদুল আযহা,
আমরা সবাই এই ত্যাগকেই কুরবানী বলে জানি...
মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহীম;
ত্যাগের মহিমা দেখিয়েছে অসীম,
আল্লাহর রাহে পুত্র ইসমাইলকে দিয়েছিলেন কুরবানী ।
আল্লাহ্পাকও দেখালেন তার শান,
তাকে বদলিয়ে নিলেন পশুর প্রান,
কঠিন পরীক্ষায় তিনি দেখলেন শুধু নবীর হৃদয়খানি ।
রক্ত মাংসের আছে কি প্রয়োজন ?
চাই কি তার আচার আয়োজন ?
তিনি শুধু চান আমরা যেন; এমনি ভাবেই তাকে মানি ।
উৎসর্গের এমনই শিক্ষা নিতে;
সবার মাঝে তা বিলিয়ে দিতে,
মানুষকে মানুষ বানাবার তরে প্রভুর এই অমোঘ বানী ।
ফ্যাশন প্রদর্শনের এ জামানায়;
সবাই নিজেরেই প্রদর্শিতে চায়,
সবার সেরা পশুটি কিনে আজ কতেকে করছেও ফুটানি !
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষেরা,
কেন হলরে এমন বিবেক হারা ?
ত্যাগের এই মহান শিক্ষার তারাই বেশী করছে মানহানি !
তারা পশু কিনে দেখায় বাহাদুরী,
আহারে, কার যে কত জারিজুরি !
কুরবানিও পরিণত হল কি তবে বিত্ত বিলাসের প্রদর্শনী ?
হালাল ছাড়া হয়নারে কুরবানী,
এ নিয়ে কেউ করিসনা মাস্তানী,
কেউ না জানুক তোমার আয়ের উৎস, আমরা তো জানি.....
আজ তাই এসো হে সবাই;
মনের পশুটাকে করে জবাই,
শাশ্বত ধর্মবানী ঠিকভাবে মানি, দূর করি জীবনের গ্লানি ।।
রচনাকালঃ- রাত ৯.১৪ টা মঙ্গলবার
২১/০৮/২০১৮ মিরপুর, ঢাকা ।
শুদ্ধ ভাবে শাশ্বত ধর্মের বানীকে নিজের তথা সমাজের কল্যাণে ব্যবহারের জন্য এবং বিশেষত ঈদুল আযহার মহিমান্বিত ত্যাগের এই শিক্ষাকে আমাদের সামাজিক জীবনে প্রতিষ্ঠার বিনীত আহবান জানিয়ে সবাইকে জানাচ্ছি বিশেষ শুভেচ্ছা "ঈদ মোবারক" ।