না আমি মানি না এসব বাবা দিবস মা দিবস
এমন কিম্ভূতকিমাকার শব্দ শুনে হই যে বিবশ !
কলম হাতে পারি না গড্ডালিকায় গা ভাসাতে  
লেখকের খাতা খুলে পারছি না মানুষ হাসাতে ।
আমি মরতে পারি সবার মত যে কোন মুহূর্তে
অনাদিকাল লেখাগুলো বাঁচতেও পারে এ মর্তে ।
তাই প্রতিটি শব্দ লিখে যেতে চাই ভেবেচিন্তে
নয়তো এই কর্মে কবরে থাকবো চির অশান্তে ।


স্বজনদের তরে উপহাস্য বিশেষ দিবস পালন
সভ্যতার সুতিকারগার এশিয়ায় এটা অশোভন ।
আমরা ভিন্ন সংস্কৃতি করতে পারি না আমদানি
কারণ হেথা এসেছিল প্রভুর যত আলোকদানি ।
ঐ পশ্চিমারা ভোগবাদীর দর্শনে বিশ্বাসী বলে
তাদের বিয়ে সাদী পরিবার না থাকলেও চলে ।  
পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট যে সেথাকার জীবনাচার
মানুষ হলেও তারা আস্ত রাখে না স্বীয়পরিবার ।


তারা ভোগবিলাসের জন্যই বিচ্ছিন্ন করে স্বজন
একটু খবর নিতেই তো এমনদিনের প্রয়োজন ।
আমরা মা-বাবার সাথেই নিত্য আছি, থাকবো  
প্রতিদিনই তাদের সনে সুসম্পর্ক ধরে রাখবো ।
পশ্চিমাদের শোষণকল্পে মগজে ঢুকানো পোকা
দুটি সন্তান যথেষ্ট বলে নেচেছিলাম যত বোকা ।
ঐতিহ্যের একান্নবর্তী পরিবার ভেঙ্গে খান খান
তাই একদিবসে সৌজন্যতা করে ঐ স্বজনসন্তান ।  
  
হ্যাঁ, আমি সেই যৌথ পরিবার গড়ছি যে আবার  
দুনিয়াতে নেই কিছু এর চেয়ে বেশী সুখ পাবার !  
তাদের পাতাফাঁদের সংস্কৃতিতে করিনা বসবাস
আসুন সবাই করি যৌথ পরিবার গড়ারই প্রয়াস ।
নচেৎ ওরা আমাদের বিচ্ছিন্ন করে করেই মারবে  
একতার বলে একাত্ম হলে কেউ কি কভু লড়বে ?  
স্বজনের সদা দেখভালে এটা সর্বোত্তম মানবিক
আদিম সভ্যরা না হই পশ্চিমাদের মত দানবিক ।


রচনাকালঃ- সকাল ৯.৪৪টা সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪২৭,
২৯ শাওয়াল ১৪৪১, ২২ জুন ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।