জিন জাতির সদস‍্য হয়েও শ্রেষ্ঠ ইবাদতকারী হিসেবে
ইবলিশ হয়েছিল নিষ্পাপ ফেরেস্তাদেরও সর্দার ।
পুরো সৃষ্টি জগতে জ্ঞান গরিমা কি ইবাদত বন্দেগীতে  
তখন কোন তুলনাই ছিল না যার ।
তার লক্ষ লক্ষ বছর পর আল্লাহ্ তুচ্ছ মাটি থেকে সৃষ্টি  
করলেন তার বড় সাধের সৃষ্টি মানুষ ।
ইবলিশের চাইতেও বেশী জ্ঞান গরিমায় মানুষই শ্রেষ্ঠ
বলে ইবলিশ শুনে হলো যেন বেহুশ ।
খোদা তারই ক্ষুদ্র সংস্করণ হিসেবে সেই মানুষকে দিল
প্রায় সবকিছুতে অবাধ স্বাধীনতা ।
যা পেয়ে সেই মানুষ খেয়ে দেয়ে নেচে গেয়ে বেড়াচ্ছে
করে তার যখন যা মন চায় তা ।
স্রষ্টাও তার অপার অনুগ্রহে বারবার ক্ষমা করে যুগে
যুগে বার্তা দিচ্ছে পাঠিয়ে নবী রসূল ও মহামানব ।
তবু কিছু ভ্রষ্টাচারী বিপথগামী তার সবকিছুকে অবজ্ঞা
করে হয়ে উঠে এক সর্বগ্রাসী দানব ।
এতো এতো ঐশী বানী সমৃদ্ধ গ্রন্থ পাঠালেও অকৃজ্ঞ
এই মানুষ নিজেরা সৃষ্টি করেছে মানবধর্ম ।
যার নাই আগা মাথা নাই লিখিত কোন কথা নির্দিষ্ট
দিক নির্দেশনা, কিন্তু তা প্রতিষ্ঠায় করে গলদঘর্ম ।
আমি বলি এটা বানিয়েছে এক বর্ম ঢাকাতে অপকর্ম
কুকর্ম এ যে এক জঘণ্য চাতুরীপনা ।
এসব মনগড়া সৃষ্টি দিয়ে স্বয়ং স্রষ্টার সঙ্গে অঘোষিত
এক যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার সামিল ।
স্রষ্টার মনোনীত ধর্মকে বিভ্রান্ত করতে কিছু নির্বোধ
দ্বারা এই খেলাটা খেলিছে শয়তান আযাযিল ।
কোন মানুষেরই সাধ‍্য নেই যে বানাবে স্বরচিত ধর্ম
যা মানলে আসবে সবার সার্বিক কল‍্যান ।
সব মানুষ তো অনেক পরের কথা একটি রাষ্ট্রও তো
ঠিকঠাক চলে না অনুসরণ করে সংবিধান ।
ও ভাই আলাদা কিছু দরকার নাই ওসব মানব ধর্ম
টর্ম নামক নব নব ফেৎনা সৃষ্টি করে ।
মানুষকে বরং স্রষ্টার মনোনীত ধর্মে মনযোগ দিতে
বলুন তাতেই জগত উঠবে শান্তিতে ভরে ।