স্বজনের তরে স্বজনের মৃত্যু শোক কাটিয়ে উঠা
বড়ই কষ্টের তদুপরি তাও যদি থাকে নিখোঁজ !
কোথায় মরে আছে তাদের স্বজন, আহা কত না
ক্রন্দন অঝোরে করে চলে তারা রোজ রোজ !
যার দুঃখ শুধু তারি ব্যথা, কেইবা শুনে কার কথা
কেবা রাখে কার অত শত হাঁড়ি বাড়ির খোঁজ ?
কি মরেছে, কে মরেছে তাতে কি ? সমাজ বায়না
ধরেছে ঠিকই, এবার তো দিতেই হবে ভোজ ।
ভোজনের উৎসব হবে, তবে যা খাবে তা তাদের
কথা মতই রবে, খাবে যেন দেশের মুক্তিফৌজ !
হাতি-ঘোড়া হল জবাই, গ্রামবাসীরাও এল সবাই
যেন কতদিন খায় নাই তাই খেলো ওভার ডোজ !
অঢেল মানুষের আগমন, দেখে মৃতের স্বজন করে
ডুকরে ক্রন্দন, কিন্তু লোকেরা করে মাস্তি মউজ !
একদিকে স্বজনের কান্নার রোল, অন্যদিকে চলছে
মেহমানের ভোজনে হট্টগোল, হায়রে মৃত্যুভোজ !
স্মর্তব্য- মৃতের তরে এমন আয়োজনের যৌক্তিকতা কতটুকু তা এখনো ভেবে দেখা উচিৎ আমাদের । অথচ ঐ অর্থে অন্য স্থায়ী কোন কল্যানকর কাজে তা ব্যয় করলে মৃতের বিদেহী আত্মা শান্তি পেত । কারণ খেতে আসা মানুষদের খুব কমই মৃতাত্মার শান্তি কামনা করে বরং তারা খাবারের ভালো মন্দ আলোচনায় মত্ত থাকে।
রচনাকালঃ- দুপুর ১২.৩৯টা, বৃহস্পতিবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৭,
৩ রবিউস সানি ১৪৪২, ১৯ নভেম্বর ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।