এই বাংলামুক্তির তরে লড়েছে যে মুক্তিযোদ্ধা
স্বীয় মুক্তি মেলেনি তার অর্ধাহার অনাহারে
অতিদুখ কষ্টে কেটেছে যার জীবন সংসারে
রাষ্ট্রীয়মর্যাদাও চায়নি বলে তাকে জানাই শ্রদ্ধা ।  
অন্তিম বয়সে চলতো যে-ই ছেলের উপার্জনে  
তারও চাকরি খেলো এ সি ল্যান্ড অফিসার
সইতে পারলনা আর এ মুক্তিযোদ্ধা আমার
শপথ নিলেন মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদাও বর্জনে ।


দিনাজপুরী ইসমাইল হোসেন প্রকৃত এক বীর
দেশের জন্য লড়েছেন করেননি নিজের জন্য
এমন বীরের হাতে মুক্তবাংলা তুমি তো ধন্য
কিন্তু কি দিলে তাকে হে যার এত উন্নত শির ?
অথচ যারা আজ খুবলে খাচ্ছে তোমার শরীর
তারাই নাকি সোনার ছেলে পদ নিতেও অস্থীর ।


স্মর্তব্য- শ্রদ্ধেয় কবি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন সাহেব এর ২৮/১০/২০১৯ তারিখে লেখা “ অভিমানে এর বীরের প্রস্থান” কবিতার কমেন্ট বক্সে লেখা মন্তব্যে এই লেখনী । তাই তাকেই এই কবিতাটি উৎসর্গ করলাম । এই বীর মুক্তিযোদ্ধার করুণ কাহিনীটি গত শুক্রবার ২৫/১০/২০১৯ তারিখে প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপানো হয় ।

রচনাকালঃ- রাত ৮.১৭টা ১২ কার্তিক ১৪২৬,
২৮ সফর ১৪৪১, ২৮ অক্টোবর ২০১৯, মিরপুর, ঢাকা ।