কথায় কথায় জ্ঞানীর ঢঙ্গে শুধুই দিসরে
যে তুই বিজ্ঞানের দোহাই.....
জানিস না তোর নাদান বিজ্ঞানের জন‍্যি
যে আজ আমরা কত দূর্ভোগ পোহাই ?
কালকে বিজ্ঞানে চূড়ান্ত বলে বিজ্ঞানীরা  
যা করেছিল ঘোষনা ।
আজকেই তাকে অবৈজ্ঞানিক বলে তা
ব‍্যবহারে আবার তারাই করছে মানা !
মুমূর্ষু রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়েও
ডাক্তার বলেন বাকিটা স্রষ্টার ইচ্ছা ।
নাস্তিক নামের তুই বেটা বদজাত স্রষ্টাকে
অবজ্ঞা করে গাও সেই বিজ্ঞানের কিচ্ছা ?
নিজের সৌরজগতটাকে বিজ্ঞানের আজও
বিন্দু বিসর্গও হয়নি জানা ।
কত শত কোটি এমনই সৌরজগত আছে
মহাবিশ্বে যা চিরকালই থাকবে অজানা ।
আরে মহাবিশ্ব নিয়ে অত পাণ্ডিত্য রাখ না
তোর তো জানাই হয়নি এই বিশ্বটাকে !
সেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল-ডেভিলস কেটল-
স্টোনহেঞ্জ-জমজম কূপের মতো রহস‍্যকে !
অমিমাংসিত এমন কতকিছুই তো আজও
রয়েছে মানুষের জানতে বাকি ।
তবুও তুই বুদ্ধিজীবী দাবীদার নাস্তিক বদ
বলিস বিজ্ঞানই সব দিয়েছে নাকি !
যে মহাবিশ্বের কাছে আমাদের পৃথিবীটাই
যেন শ্রেফ একটি ধুলিকণা ।
তারই পরমাণুসম এই মানুষই কিনা তার
বিজ্ঞান দিয়ে করে স্রষ্টার সনে তুলনা !
বড় হাস‍্যকর পাগলের নাকি হয়েছে মাথা
নষ্ট ? ভাবতেই লাগে বড় কষ্ট !
এমনই যত্তসব ভণ্ড পাপাচারী পাষণ্ড যখন
বিভ্রান্তিকর তথ‍্যে কাউকে করে পথভ্রষ্ট ।
স্রষ্টা তাই বারংবার তার সৃষ্টি নিয়ে ভাবতে
বলেছে, কিন্তু তাকে নিয়ে কভু নয় ।
তবুও তুচ্ছ এই মানুষ নামের অমানুষেরাই
সর্বদা তাকে নিয়ে তামাশায় মেতে রয় ।
নিজেকে মহান প্রকাশে ত‍ৎপর তোরা কিন্তু  
শিশুর কাছেও প্রশ্নবিদ্ধ তোদের কাণ্ডজ্ঞান ।
স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হয়েও ইবলিশের সওয়ারী
ওরে তবু কেন করিস রে বিজ্ঞান বিজ্ঞান ?
আবার সময় কাল দৃশ‍্য অদৃশ্য বস্তু নিয়েও
দেখি তোরা দেখাতে চাস খোঁড়া যুক্তি ।
আসলে তোদের হাত হতে নিস্কৃতি না পেলে
মানুষের কভুও হবে না সত‍্যিকারের মুক্তি !
তোরা অদৃশ্যে বিশ্বাস কর না কিন্তু কর তো
তোদের ঐ বিজ্ঞানে বিশ্বাস ?
তবে বেতার যন্ত্রে কথা কিবা তথ‍‍্যটা কেমনে
যাওয়া আসা করে তোরা কি দেখতে পাস ?
এমনই শত সহস্র নজির যদি বিজ্ঞানে থাকে
তবে বিশ্ব স্রষ্টার থাকবে না কি ঢের বেশী ?
প‍্যারানরমাল বিশেষজ্ঞগনও ঐ বিজ্ঞান দিয়ে
অদৃশ্য শক্তির প্রমাণ পেয়ে হচ্ছে বিশ্বাসী !
কাজেই তোর ঐ বিজ্ঞান নামক ভোতা অস্ত্রে
স্রষ্টার রহস‍্য খণ্ডনে আর করিস না অপচেষ্টা ।
বরং মানুষকে তার অপার নেয়ামত ভোগের
সহায়ক হয়ে মিটাতে দাও জ্ঞানের তেষ্টা ।
স্রষ্টার অসীম দয়া করুণাসহ রহমত বরকত
গায়েবী মদদ পেয়ে মানুষকে হতে দে ধন‍্য ।
তার সৃষ্টির কল‍্যাণে জীবন উৎসর্গ করাই যে
প্রধান কর্তব্য প্রতিটি সৃষ্টির জন‍্য ।


রচনাকালঃ- দুপুর ১:২১টা, শনিবার, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯, ৫ শাওয়াল ১৪৪২, ৭ মে ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।