সে হোক না মজুর হোক না হুজুর শিক্ষকতা কি
চিকিৎসা বা বিচারিক তার পেশা ।
যদি থাকে তার পান বিড়ি সিগারেটের কিংবা
ইয়াবা গাঁজা মদ হেরোইনের নেশা ।
মনের মতো বন্ধু পেলেই তাকে নিয়ে সে এক
বেলাতে টাকা উড়াবে হাজার হাজার ।
কোন বন্ধু যদি তা না খেয়ে খেতে চায় ভালো
কিছু তা দামে কম হলেও সে হয় বেজার ।
দৈনিক তার অগনিত টাকা এজন‍্যে ব‍্যয় বলে
তা নিয়ে ভাষণ দেয় কত না গর্ব করে ।
অথচ ঘরে তার কঙ্কালসার পরিবার চিকিৎসা
পুষ্টি আর চারটা ভাতের অভাবে মরে ।
যে বন্ধুর পেছনে নেশার বিল দিতে কার্পণ্যই
করেনা বরং সর্বস্ব করে দেয় উজার ।
বন্ধুর পরিবার না খেয়ে থাকলেও দেয়না তারে
দশ টাকা ধার দিলে গালিগালাজে করে উদ্ধার ।
আল হাদীসে বলা আছে অপচয়কারী শয়তানের
ভাই আর নেশাখোরের জন‍্য জান্নাত নিষিদ্ধ ।
কোন নেশাখোর যে সুস্থ মস্তিষ্কধারী নয় তাদের
এসব আচরণ নয় কি প্রশ্নবিদ্ধ ?
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ করা থাকলেও বরং তার
গ্রাহক চাহিদা মিটাতে কোম্পানি খাচ্ছে হিমশিম ।
নেশার জন‍্য হন‍্য হয়ে প্রজন্ম করছে কত অপরাধ
কর্তারা নেশাণ্ডমুক্ত দেশ দেবে আর ঘোড়ার ডিম !


রচনাকালঃ- রাত ১১.৫৮টা, বৃহস্পতিবার, ৩১ আষাঢ় ১৪২৮, ১৫ জুলাই ২০২১, মিরপুর, ঢাকা ।