দুর্বৃত্তদের দায়ের কোপেই মরল রিফাত  
প্রকাশ্য দিবালোকে ।  
কৌতূহলী হয়েই দৃশ্যটি করল উপভোগ  
হায়রে কত লোকে !  


না না না এতো নতুন কিছুনা, আদিকাল
হতেই ঘটে এই ঘটনা !  
বাংলার নবাবের লাশ প্রদর্শনকালেও এ
জনতা কিচ্ছু বলতো না !  


এটাই মোদের ঐতিহ্য বুঝি হয়ে থাকি
সবাই নির্লিপ্ত দর্শক ।
আজ তাই বড় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে
যত জালেম খুনি ধর্ষক !  


ওরে দর্শক তোমার এখনও কি মিটেনি
ঐ লোলুপ নয়নের ক্ষুধা ।
তবে তোমারও এমন দৃশ্য দেখে সবাই
একদা মিটাবে মনের সুধা ।  


হাত আছে পা আছে আছে গলার গগন
বিদারী বজ্রকন্ঠী আওয়াজ ।
তবুও কেন এমন মূর্তিসম জনতা হয়ে
প্রতিবাদহীন থাকো আজ  ?


স্মর্তব্য- গত ২৬ জুন বাংলাদেশের বরগুনা জেলার সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কতিপয় দুর্বৃত্ত তার স্ত্রী এবং জনতার সমক্ষেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে । তখন উপস্থিত জনতা চাইলে তাকে বাঁচাতে পারতো । কিন্তু সবাই যেন দৃশ্যটি উপভোগ করছিল । এমন ঘটনা আজকাল প্রায়শই ঘটছে আর আমরা সবাই ভাবছি এতে আমার কি ? আমার তো আর এমন দশা হবে না । কি দরকার ঘরের বনের মোষ তাড়ানো । তার চেয়ে বরং চোখের ক্ষুধা মিটাই ।  


রচনাকালঃ- রাত ৯.৪৯ টা শনিবার ১৫ আষাঢ় ১৪২৬,
২৫ শাওয়াল ১৪৪০, ২৯ জুন ২০১৯ মিরপুর, ঢাকা ।