হাসপাতালের বিছানায় পড়ে
রোগীরা কাতরায় করুণ স্বরে
কতজনার কত রোগ ব্যাধি
দূর্ঘটনায় কারো ছিন্নভিন্ন অঙ্গ ।
দুনিয়াতেই যার কারখানা নাই
হারালে অবিকল কোথায় পাই
মূল্য দেবারও সাধ্য নাই প্রভুর
সৃষ্ট তাহোক অতি তুচ্ছ প্রত্যঙ্গ !
নাগর ভোলানোর ডাগর নয়না
বুঝে কত যন্ত্রণা দেয় ধুলিকণা
কতনা দূরারোগ্য ব্যধিতে
কৃষ্ণ রূপে রূপান্তর হয় গৌরাঙ্গ।
পেলব হাতের কমল পরশে
সুডৌল যৌবনের মধু রসে
পাগল বানাই, করি বড়াই
দেখিয়ে রূপ রঙের নানা ঢঙ ।
জওয়ানি শক্তির মদমদ্দতায়
সবি করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতায়
অথচ অদৃশ্য ভাইরাস
ব্যাক্টরিয়ায় শরীর হয় নিস্তরঙ্গ !
আগেভাগে তার নেই না যত্ন
বুঝিনা এসব যে অমূল্য রত্ন
জন্ম হতে যে অঙ্গের সঙ্গবিনা
অচল, হইনা তার সনে অন্তরঙ্গ ।
রোগাক্রান্ত নিথর হলে দেহ
পাশে আর থাকেই না কেহ
সাবেক সৌঠব সুন্দর দেহ-
বল্লরীও হয় অসহায় নিঃসঙ্গ !
এক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হলেই অচল
থেমে যায় বেপরোয়া চলাচল
দেহে রোগ বাঁধলে বাসা
স্বপ্ন সাধের সব আশা হয় ভঙ্গ ।
তাদের সাথে করি সদাচরণ
সযত্নে সামলে রাখি আমরণ
কেয়ামতে সকল কৃতকর্মের
সাক্ষী দেবে যে স্বীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ !
রচনাকালঃ- দুপুর ১.৪৪টা, শনিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১ মাঘ ১৪২৮, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা ।