তোমার কাছে যতখানি মাননীয় পুজনীয়
শ্রদ্ধেয় কোন নেতা যাজক ঠাকুর পীর।
এদের সম্মানে দাও যত তুমি,
ভোগ-অর্চনা যজ্ঞ-সিন্নী পায়েস-ক্ষীর।
এদের আদর্শ চেতনার উপর
জীবন গড়ার যতখানি করেছ মনস্থীর।
ঠিক ততখানি আদর্শ চেতনার ধ্বজাধারী
কিংবা অনুসারী হয়েছ কি মহানবীজীর ?
ঠিক ততখানি কৃতজ্ঞতায় শুকরিয়ায় ভক্তিতে
স্রষ্টার স্মরণে নোয়াও কি তোমার শির ?
তোতার মত কার আদর্শ চেতনার
কথা যত্রতত্র আওড়াও বিড়বিড় ?
এসব আদর্শ চেতনার বাড়াবাড়ি
স্রষ্টার উপাসনার চেতনায় ধরায় না কি চিড় ?
এত্তসব রকমারি চেতনার কারবারে
মানব সমাজও আজ নয় কি অস্থীর ?
এক জীবনে কভু হওয়া যায় কি অনুসারী
এমন একাধিক চেতনা পন্থীর ?
এক স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এই মানবজাতি আজ
দাসত্বের নামান্তর; পড়েছে হাজার চেতনার জিঞ্জির।
এই চেতনা চেতনা করে অযথাই
ঘরে ঘরে চলছে না কি রক্তস্নাত হানাহানির ?
এজন্যেই আজ দেশে দেশে চরম অস্থীরতা-
দুর্ভোগ, চলছে না কি পৃথিবীবাসির ?
তাই, এসো বন্ধু শুধু স্রষ্টার চেতনায়
উদ্ভাসিত হয়ে মান রাখি সেরা সৃষ্টির।
শ্রেষ্ঠ মানুষ হয়ে এমন আজ্ঞাবহ অন্ধ অনুসারী না হই
কি সব চেতনার ঠাকুর পীর কিংবা কোন নেতা-নেত্রীর।
পরকালের শেষ বিচার দিবসে স্রষ্টার সামনে
এ নিয়ে জর্জরিত না হই লজ্জাজনক জবাবদিহির......।
রচনাকালঃ-১৫/০৮/২০১৫, ঠাকুরগাঁও ।