হে মানুষ, আপনি অবিশ্বাসী নাকি বিশ্বাসী যত    
হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-জৈন-ইহুদী-খৃষ্টান ।  
এই সুন্দর ভুবনে যদি বিপদমুক্ত সুখ শান্তিতে  
থাকতে চান, তবে মুক্ত হস্তে করুণ দান !  
ইবাদত বন্দেগি, পূজা অর্চনা প্রার্থনা যা আছে,  
দান ছাড়া স্রষ্টার কাছে বাড়ে না যে সম্মান ।  
স্বীয় উপার্জনেরই উল্লেখযোগ্য অংশ যদি মানব
কল্যাণে করেন দান, দেখুন না তার প্রতিদান !  
সব ধর্মই বলে করতে দান, অভাব-বিপদ-রোগ
মুক্তিতে নবী (সা) বলেছেন দানে হয় পরিত্রাণ।  


ধন থাকলেই তো করা যায় না দান, করেও না
বিত্তশালীরা, ওরা তো শুধু সঞ্চয়েই যত্নবান !
ওরা ধনী না ধনকুবের, ধনীর কলঙ্ক, অঙ্ক কষে  
যার উপাসনা, ঐ উপাস্যকে দেয় কি বলিদান ?
চলমান মহামারিতে, ওরা মরছেও স্বীয় সুরক্ষিত
বাড়িতে, ঐ ধন লাগেনা কাজে বাঁচাতেও প্রাণ !  
ওরা দান নয় বিনিয়োগ করে, কি করে গরীবের
ধনে পকেট ভরে, তারই চেষ্টা চালায় আপ্রাণ ।  
যদিও সম্পদের উত্তরাধিকারীরা গুটায়ও পাত্তাড়ি,
অসহায় পরে থাকে নিথর লাশ সেজে ধনবান ।
    
প্রকৃতির সম্পদ প্রকৃতিতে মিলিয়ে যায়, ধনবান
অশরীরী দৃষ্টিতে দেখে বলে হায়, সবি বিরান !  
জীবদ্দশায় বুঝেনি ওরা, সম্পদ অর্জন পূর্বে ছিল
দরকার, তার সুষ্ঠু ব্যবহার করার পর্যাপ্ত জ্ঞান ।  
বুঝে জ্ঞানীরা, দাতা হাতেম তাঈ, হাজী মহসিন
রনদা প্রসাদ সাহা নামগুলো তাই চির অম্লান ।
আজ সে পথেই হাঁটলেন উদার কবি প্রণব লাল
মজুমদার, মানবতার অকৃত্রিম এই বন্ধু মহান ।
বাংলাদেশে বিপন্ন মানুষের পাশে থাকতে হাজার
কুড়ি টাকা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে করেন দান ।        
  
যারা করোনা মৃতের সম্মানে শেষ বিদায় জানান ।
প্রিয়কবির তাতে অবদান রাখায় শুভেচ্ছা অফুরান !



স্মর্তব্য- বাংলাদেশের এই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন নান্মী প্রতিষ্ঠানটি সুদীর্ঘ ২৮ বছর ধরে মানবতার কল্যাণে অভিনব পন্থায় কাজ করে যাচ্ছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে । বর্তমান বিশ্বে বিরল এই প্রতিষ্ঠানটি বাঙালী জাতিকে সুপরিকল্পিতভাবে স্বউদ্যোগ স্বপরিকল্পনা ও স্বঅর্থায়ন নীতিতে বিশ্বাসী করে মানবিক মহাসমাজ গড়ার একটি মহাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে নিরবে নিভৃতে । ১৮/২০ টি জরুরী সেবা মূলক খাত বেছে নিয়ে চলছে তার কার্যক্রম । করোনা ভাইরাস দেশে আসার সাথে সাথে সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু কার্যকরী নির্দেশনা আসে । যা পালন করে সবাই উপকৃত । মহামারী শুরু হলে এই সংস্থা সবার আগে তা মোকাবিলায় নেমে পরে দুঃসাহসিকতার সাথে । নিজ অর্থায়নে দেশে করোনা মৃতের প্রায় অর্ধেক লাশের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন/ সৎকার করে সুষ্ঠুভাবে। সব ধর্মাবলম্বীরা যেথা এক প্লাটফর্মে এক স্রষ্টার আরাধনায় নিমগ্ন । সকল ধর্মাবলম্বীর প্রায় আড়াই হাজার অনাথ শিশুর জন্য দেশের সর্বসেরা মানের শিক্ষা এবং ক্রীড়া শিক্ষা সহ নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত এটি একটি আত্ম উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমের নিমিত্তে নির্মিত প্রতিষ্ঠান । যেখানে ধ্যান যোগ প্রাণায়াম এবং জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষা সঠিক দিয়ে অগণিত মানুষের সুন্দর জীবনধারা তৈরিতে অভাবনীয় অবদান রাখছে । রোগকে সুস্থতায় সমস্যার সমাধানে
হাতে নাতে শিক্ষা দেয়ায় হেথা সর্বস্তরের মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হচ্ছে । তাই মানবতার বন্ধু সকল কবিদের আহ্বান জানাচ্ছি এই সাইটটি ভিজিট করতে www.quantummethod.org.bd . আজকের বিশেষ আলোচনাটি দেখতে এই লিংকটিতে যাবেন  
http://speech.quantummethod.org.bd/bn/detail/4072b94c-c6da-11ea-bebd-db8de07963c1 । ধন্যবাদ । শুভ কামনা সবার জন্য ।


রচনাকালঃ-দুপুর ৩.১৭টা, শুক্রবার, ২ শ্রাবণ ১৪২৭,
২৫ জিলকদ ১৪৪১, ১৭ জুলাই ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।