ওহে গুরু........ ওহে ঠাকুর.........
আছেন যত নেতা, পীর-দরবেশ !!  
ভিন্নমতালম্বী কিংবা কি আদর্শবাদী.........
নেতৃত্ব দেবার তোদের কেন এমন খায়েশ ?
চাও হতে জননন্দিত মহামান্য স্বনামধন্য
নির্বোধের সামনে ঘটিয়ে দুর্বোধ তত্বের উন্মেষ !


একটা আজগুবি হুজুগ মাতিয়ে দিয়ে
ফায়দা লুটিয়ে ঝোলাও ভরাচ্ছো বেশ !  
অতঃপর তোমার চেলা চামচা দিয়ে,
করছ আচার সর্বস্ব বাহারি আয়োজন বিশেষ !
ছানা মাখন আর অমৃতের ভুঁড়ি ভোজন,
সেবাদাসিনির সাথে রকমারি বিলাসিতারও নেই শেষ !


ভক্তকুল আর শিষ্যের ঘাড়ে চড়ে,
করে যাচ্ছও কত আরাম আয়েশ !
চেহারাটাও নাদুস নুদুস বানিয়ে,
ভাবখানায় এনেছ রাজার আবেশ....


অন্ধ-অনুসারীদের কি পানি পড়া দিচ্ছ,
দিচ্ছ আরও কত অভিনব ফরমায়েশ !
আবার অঙ্গুলি হেলানে বিরোধীদের উদ্দেশ্য;
দিচ্ছ কত কুকর্ম দুষ্কর্মের নির্দেশ ?


ভক্তদের অতি উৎসাহ উন্মাদনা সৃষ্টিতে
মাঝে মাঝে তাদের খাওয়াচ্ছোও সিন্নী পায়েশ !  
মঞ্চালংকৃত করে বাগ্মিতায় পটু তুমি
উত্তপ্ত কথায় হাত চাপড়িয়ে কাঁপাচ্ছোও ডায়েশ !


তোমার জন্যই তুমি করে গেলে হে.......
কত রঙ্গ তামাশার কীর্তি অশেষ !!
একবারও ভাবলে না একদিন তোমার
এই জারিজুরি ছল চাতুরী ফাঁস হয়ে.......
প্রাতুষ্য স্মরণীয় না হয়ে, তুমি হবে মহাভণ্ড !
আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত তোমার সব অর্জন
দুঃস্মৃতি হয়ে থাকবে ঐ আস্তানার ধংসাবশেষ  !!!


রচনাকালঃ-শুক্রবার-০২/০১/২০১৫ ঢাকা ।