সোনার বাংলায় সোনার মানুষ একদা করত
পরম সুখে সদা হাসি মুখে বসবাস ।
ভিনদেশি দস্যুদের সনে কতেক কুলাংগার  
দোস্তি করে ঘটাল ভাগ্যের পরিহাস ।
অতঃপর নির্মিত হল রক্ত রচিত স্বর্ণ খচিত
বাংলার লাল সবুজের এই ইতিহাস ।


বৃটিশ দস্যুদের প্রবেশ সূচনা লগ্নেই বাঙালি
কর্তার রক্ত নিয়ে হল কুলক্ষণা সূচনা ।
তারপর অদ্যাবধি বাঙ্গালীর ইতিহাস সবটাই
হল শুধু রাঙ্গা রক্ত দিয়েই রচনা ।
আর এখন বাংলার সভ্যতা সামাজিকতা ও
সংস্কৃতি সবি চলছে করে ধার দেনা ।  


সেই সতেরশ সাতান্ন থেকে শুরু করে বাঙ্গালী
শোষণ নির্যাতনে রক্ত দিল দু’শটা বছর ।
ভাষার দাবীতে উনিশ’শ বায়ান্ন, স্বাধীনতার
জন্য রক্ত গঙ্গা বইয়ে দিল একাত্তর ।
আর থামেনি বাঙ্গালীর রক্ত ঝরা কোনদিনও
এখনও ঝরে চলেছে নিরন্তর নির্ঝর............  


তারুন্যের রক্তে কেনা ভাষা মোদের এক সাগর
রক্তে কেনা এই দেশ ।
আর কত রক্ত দিলে শোষকগোষ্ঠীদের চিরতরে  
রক্তের নেশা হবে শেষ ?
আর কত রক্ত দিলে ফিরে পাবো খানিক শান্তি
শেষ হবে হানাহানি হিংসা বিদ্বেষ ?


দেশী বিদেশী ঐ রাক্ষুসদের হাতে দিনে রাতে
আজও দিয়েই যাচ্ছি কত রক্ত !
সত্যই যদি বাঁচার মত বাঁচতে চাও ? তবে ঘুরে
দাঁড়াও, হে বাঙ্গালী শিরদাঁড়া করে শক্ত ।
শুধু এ কথা আবারও তোরা কান খুলে শুনে নাও
দুনিয়াটা যে নরমের যম শক্তের ভক্ত !  


রচনাকালঃ রাত ১১.১৫টা  ০১ ফাল্গুন ১৪২৬,
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।