আধুনিক শাসন ব্যবস্থার প্রনেতা
প্রবক্তা আর স্বঘোষিত নেতা যাহারা।
সমাজে সুশৃঙ্খলা বজায় রাখতে
ব্যর্থতায় চরম পর্যুদস্ত, যেন কূপমুণ্ডক তাহারা।


প্রতিদিন খুন ধর্ষণে সমাজ সয়লাব,
কিন্তু তাহারা, গর্বের দায়িত্ব পেয়ে বেজায় আত্মহারা।
সভ্যতার বলিষ্ঠ দাবীদার এমন সময়েও,  
মানুষ থাকে সদা ভীত-সন্ত্রস্ত আতঙ্কে দিশেহারা।


এ শাসন ব্যবস্থায় সদর দরজা খোলা রেখে
তাহারা খিড়কীতে বসিয়েছে কড়া পাহারা।
সেনা-সামন্তে হন্তে দন্তে কত রসদে
আর যন্ত্রে-মন্ত্রে দিয়ে যাচ্ছে ব্যয়বহুল যত মহড়া।


কমান্ডো স্টাইলে ডিবি সি আই ডি দিয়ে
কিভাবে অপরাধীকে হাতেনাতে যায় ধরা।
ধরেই বা কি হবে ?  আইনের ফাঁক ফোঁকরে আর
অর্থের জোরে সে আবার পেয়েও যাচ্ছে ছাড়া।


কত সংস্থা; কত দরদী দাদা-কাকা বুদ্ধিজীবী,
কত নেতা; পাতিনেতা আছে খড়গ হাতে খাড়া।  
অপরাধ করার শাস্তি স্বরূপ কোন ভাবেই
কোন কিছুতেই যেন হয়না তাদের মারা।


অপরাধকে এভাবে তারা করছে লালান আর পুরস্কৃত
নিরপরাধী বঞ্চনায় করছে আত্মহত্যা হচ্ছে দেশছাড়া ।  
উৎসমুলে না গিয়ে যায় কি কোনভাবে
কোন দিনও কোন সমস্যার সমাধান করা ?


অধর্মতাই যে সব অপরাধের উৎস
ঐ বুদ্ধিজীবীরা কেন দিচ্ছেনা এ বিষয়ে সাড়া ?
অধর্মতা রোধ না করে বেকার ওসব
আইন কানুন সংবিধান, আছে যত মনগড়া।


কস্মিনকালেও অপরাধের হবেনা শেষ
হ্যাঁ হবে, তবে শুধু স্রস্টার আইন দ্বারা।
তাই, এসো সবার তরে সবাই মিলে মনের জোট খুলে
ক্ষুদ্র স্বার্থ বিসর্জনে সাজাই মোদের এক নতুন বসুন্ধরা ।
                  
রচনাকালঃ- ২১/০১/২০১৫ ঢাকা ।