মাঝ নদীতে জাহাজ ডুবেই
যখন হলাম সর্বহারা ।
ভাগ‍্যগুনে পরক্ষনে পেলাম
একখণ্ড কাঠের টুকরা ।
ভাসতে ভাসতে গিয়ে পড়ি
যখনই অকুল দরিয়ায় ।
হায় ! সে-ও আমায় ফেলে
গেল করে অসহায় !
এমন দুঃসময়ে কাঠই পারে
যেতে বুঝি নেই যে হৃদয় !
প্রাণী হলে কভু হতে পারত
কি সে এতোটা নির্দয় ?
কেউ যখন সব হারিয়ে ধরে
যাকে ভেবে শেষ ভরসা ।
কোন সুহৃদ পারে না কারো
কাড়তে বাঁচার সে আশা ।
বেঁচে ফেরে ঐ কাঠকে নিয়ে
চেয়েছি থাকতে জীবনভর ।
নিথর সে কাঠ চুলোর লাকড়ি
হতেই আমায় করল পর ।
নির্জীব বলেই কি স্বপ্নহীন যে
চায় হতে চুলোয় জ্বলে ছাই ?
জলে মরমর অবস্থায়ই ভেবে
সে কথা কেঁদে নয়ন ভাসাই ।
অকুল এ দরিয়া হতে বাঁচতে
তাই চেষ্টাও করি না মোটে ।
যদিও বা দৈবক্রমে বাঁচাবার
জন‍্য আস্ত জাহাজও জোটে ।


রচনাকালঃ- রাত ১০:১৭ বুধবার, ২৭ আশ্বিন ১৪২৯, ১২ অক্টোবর ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।