আমি চিনি গো খুব ভালো চিনি তাকে
তিনি যে কতনা মহান জ্ঞানী ।
চা-মিষ্টান্ন-জর্দা-ফিরনী-ক্ষীর-পায়েস
খান না তিনি, না হলে সাদা চিনি ।
সাদা চিনি সাদা বিষ জানেন না যিনি
হতে পারেন কি সম্মানের পাত্র তিনি ?


তিনি নাকি তোমাদের শ্রদ্ধা সম্মানের
অনেক মাননীয় পুজনীয় ।
কিন্তু আমি যে তাকে সেভাবে মানিনা,
তার জীবনাচার বেজায় নিম্নস্থানীয় !
তা না হলে কেউ কি পান করে কোক
পেপসির মতো বিষাক্ত কমল পানীয় ?


তার প্রতি সেদিন হতেই যে উঠে গেছে
আমার ভালোবাসা ভক্তি ।
যেদিন তিনি দেখিয়েছিলেন ধুমপান
মদ‍্যপান আর নেশা করার যুক্তি ।
কি করে নিজেকে মানুষও দাবী করেন
যিনি চাইলে পারেন না এ থেকে মুক্তি !


চিপস-ফ্রেঞ্চফ্রাই-হটডগ-চিকেন গ্রীল
কাবাব-পিৎজা-বার্গার ।
প‍্যাকেটজাত প্রক্রিয়াজাত কিবা মচমচে
ভাজাপোড়া যার নিত‍্য সৌখিন খাবার ।
তিনি যাইহোক হতে পারে ভালোলোক
কিন্তু তাকে জ্ঞানী বলি কেমনে আবার !


আরে মহান প্রভুর দেয়া অমূল্য শরীরটা
সুরক্ষার যার নাই নূন্যতম জ্ঞান ।
তিনি কিসের বিদ‍্যান ? অযথা যথাতথা
কাদেরকে বা করেন জ্ঞানদান ?
তাকে কেন মানতে হবে ? কেন তাকেই
শুনতে হবে ? তিনি তো কালের নাদান  !


রচনাকলঃ-রাত ৮.০টা, বৃহস্পতিবার, ৮ বৈশাখ ১৪২৯, ২০ রমজান ১৪৪২, ২১ এপ্রিল ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।