ঠাকুরের হঠাৎ কচি পাঠার মাংস
খেতে খুব ইচ্ছা হলে ।
পাঁচ ঠগেরা যুক্তি করে ঠাকুরকে
এবার আচ্ছা ঠকাবে বলে ।
পথের পাঁচ স্থানে শুরু করে কাজ
ঠাকুরকে যে তারা ঠকাবেই আজ ।
বাজারের পাঠা কিনে ঠাকুর মশাই
তা ঘাড়ে নিয়ে যখন চলল।
পূজোনীয় ঠাকুর ঘাড়ে কেন কুকুর ?
প্রথম ঠগ চেচিয়ে বলল ।
দ্বিতীয় ঠগও বলল সর্বনাশ ঠাকুর
ছিঃ ছিঃ ছিঃ আপনার ঘাড়ে কুকুর !
তৃতীয় ঠগও বলে দশ গ্রামে আর
কে আছে এমন গনমান্য ?
কিন্তু অচ্ছুত প্রাণীটিকে ঘাড়ে নিয়ে
নিজে ধর্ম করলেন অমান্য ?
নামিয়ে দেখল ঠাকুর এত পাঠাই
তবে কেন একে কুকুর বলে সবাই ?
বোধহয় আমি বুড়িয়ে গেছি বলেই
আমার হয়েছে মতিভ্রম ।
কুকুরকে পাঠা ভেবে খরিদও করে
ঘাড়ে নিয়ে করলাম পণ্ডশ্রম !
চতুর্থ ঠগ একইভাবে বললে পরে
ঠাকুরের পুরা বিশ্বাসের ভীত নড়ে ।
নিজেরই প্রতি এবার তিনি বিরক্ত
হয়ে উঠে করেন আত্ম গ্লানি ।
ঠগেরা এবার জিতবে বলে করছে
নিজেদের মধ্যে কানাকানি ।
পঞ্চম ঠগও যখন বলল সে কথা
ঠাকুরের এবার উঠল মাথা ব্যথা ।
ঘাড় থেকে নামিয়ে পাঠাকে রেগে
লাথি মেরে করল বিদাই ।
ঠকেরা এভাবেই জেতে ঠাকুরেরা
প্রভাবিত হয়ে হারে সদাই ।
☆ প্রচলিত গল্পের কাব্য রূপ দেওয়ার প্রয়াসে ।
রচনাকালঃ- সন্ধ্যা ৭.০৯টা, রবিবার ২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ২০ রবিউস সানি ১৪৪২, ৬ ডিসেম্বর ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।