আমরা দিস্তায় দিস্তায় দরখাস্তই লিখি
তবু তিস্তার জল দিলে না ।
দুঃখের জায়গায় দুঃখই রইল মোদের
নিস্তার তো আর মিলে না ।
প্রমত্তা নদীর বুকে সাহারা মরুর মত
পড়ে আছে শুধু ধু ধু বালুচর ।
সেই না বিরাণ চরের মাঝে রে ভাই
দখলদারেরা বাঁধছে বাড়িঘর ।
প্রভূর দেয়া নেয়ামত দিয়ে কেয়ামত
কেউ দেখাইও না রে আর ।
এমন অন্যায্য কারবারে তোদেরও যে
বিধাতা করবে কঠিন বিচার ।
আমরা দিস্তায় দিস্তায় দরখাস্তই লিখি
তবু তিস্তার জল দিলে না ।
শুধু নয়ন জলে বুক ভাসাইলে মোদের
কভু যে ভালোবাসিলে না ।
দাদা গেল দিদি এল আশ্বাসেরই মূলা
ঝুলাল তবু হিস্যাটুকুই দিল না ।
বন্ধু বল ভালোবাসা বল সবই অঢেল
ছিল শুধু যে মমতাটাই ছিল না ।
এত্ত এত্ত নাকি ভালোবাসিলে মোদের
তবুও তো উজানে দিলে বাঁধ ।
মিশ্রির ছুড়ি বুকে বসিয়ে বাঁধ তো নয়
মোদের জন্যে বানালে মরণ ফাঁদ ।
আমরা দিস্তায় দিস্তায় দরখাস্তই লিখি
তবু তিস্তার জল দিলে না ।
গুলিস্তায় গালগল্পের আসর সহ বাসর
করলে কিন্তু রিস্তা করলে না ।
দু কূল ছাপিয়ে যেই না তিস্তা মহানন্দে
কুল কুল করে বয়ে যায় ।
আজ জলের তৃষ্ণায় সেই না তিস্তা বুক
ফাটিয়ে করছে হায় হায় ।
একটি মাত্র নদীর জন্য কোটি মানুষের
প্রাণ আজ হল গো বিরাণ ।
এই নদী তো শুধুই নদী নয় যে মোদের
এতো জীবন জীবিকার সংস্থান ।
তাইতো দিস্তায় দিস্তায় দরখাস্তই লিখি
তবু তিস্তার জল দিলে না ।
জলবিনা বেঁচে আছি নাকি মরেই গেছি
হে বন্ধু খবরটুকুও নিলে না !
রচনাকালঃ- রাত১১:৪২টা, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১, মিরপুর, ঢাকা ।