কনকনে শীত তুচ্ছ করে কাটিয়েছি কত
উদোম গায়ে না জড়িয়ে চাদর ।
তুমিই তো শীতের ভয় ঢুকিয়েছ আমার  
গায়ে চাদর জড়িয়ে করে আদর ।
আমি আগে অন্ধ ছিলাম বটে তবে কভু
চলতে ফিরতে পেতাম না কষ্ট  ।
তুমিই সর্বক্ষন ধরে ধরে চলাতে ফিরাতে
আমার চলার অভ‍্যাস করেছ নষ্ট ।
তোমার নির্ভরতায় আমি হারিয়েছি যেন
আজ নিজে নিজে চলার ছন্দ ।
আগে তো একা একাই সবকিছু করতাম
আমি কভু না করে দ্বিধা দ্বন্দ্ব ।
একা একাই যা কিছুই করেছি আজীবন
নিজের জ্ঞান বুদ্ধি শক্তি বলে ।
তোমাকে পাবার পর থেকেই আমার সব
শক্তি বল তোমার কাছে গেছে চলে ।
তবে তা দ্বিগুণ শক্তি বলে আমাকে দিত
প্রেরণা অজেয়কে করতে জয় ।
তুমি সঞ্জীবনী শক্তি রূপে আশীর্বাদ হয়ে
এসে আমায় বানিয়েছিলে দূর্জয় ।
এ রকম পরনির্ভরশীল বানিয়ে কেন গো
আজ আমার সাথে করছ অমন ?
তুমি অন্ধের ষষ্ঠীর মতো আমার জীবনে
ছিলে যে একমাত্র অবলম্বন !
এখন আর মোকাবেলা করতেই পারি না
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা কিংবা ঝঞ্জা ঝড় ।
আমি যে এখন সবকিছুতেই হয়ে উঠেছি
গো শুধু তোমাতেই নির্ভর ।
না আমার তো লাগতোই না টাকা পয়সা
উজির নাজির হাতি ঘোড়া ।
চলার পথে আমার সর্বদাই লাগতো শুধু
একটুখানি তোমার হাতটি ধরা ।
লাগতো না তো কোনকিছুই খুব দরকার
ছিল শুধু তোমার পাশে থাকা ।
তুমিহীন এখন খা খা মরুর মতোই যেন
আমার চারপাশ হয়েছে ফাঁকা ।
যেথা ছিল সুশোভিত মরুদ‍্যান আজ সব
বিরাণ, তুমিহীন স্বপ্নও দেখি না রঙিন ।
এই বিরাণ মরুতে পিপাসায় কাতর হয়ে
ধুঁকে ধুঁকে গুনি শুধু মৃত্যুর দিন ।
  
রচনাকালঃ- রাত  ১২:১৫টা, শনিবার, ৩০ আশ্বিন ১৪২৯, ১৫ অক্টোবর ২০২২, মিরপুর, ঢাকা  ।