আমি ভিখারী!
রিক্তের বেদন উদরে পোষা অশান্ত এক ভিখারী।
আমি এখন আর ভিক্ষা চাই না
আমি ভিক্ষা দেই।
যাদের  উদরে নেই ক্ষুধার কাতরতা,
যারা চেয়ে থাকে না কভু  ঐ আকাশের পাণে সর্বদা
আমি তাদের ভিক্ষা দেই।
ভিক্ষা নিতে নিতে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি
এখন একটু শান্ত হতে চাই।
আমি ভিক্ষা নিতে নিতে যাদের করেছি ভিখারী
এখন  আমি তাদের ভিক্ষা দিতে চাই।
হালকা করতে চাই আমি ঋণের বোঝা
আমার কাছে এখন মৃত্যু অনেক সোজা।
আমি মৃত্যুকে আর করি না ভয়
মৃত্যুকে আমি করেছি জয়!
যারা ভয় করে আমি তাদের ভিক্ষা দেই
আমি আর ভিক্ষা চাই না,আর ভয় পাই না।
যারা শুধু  দু' মুঠো ভাতের জন্য
ঐ আকাশের দিকে সর্বক্ষণ চেয়ে থাকে,
তাদের কিসের মৃত্যুর ভয়?
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেই তো তারা বেঁচে আছি।
সারা দিন ক্ষুধার জ্বালা  বহন করতে করতে
আমি ভুলে গেছি মৃত্যুর ভয়,
এখন আর মৃত্যুকে ভয় পাই না।
আমি মৃত্যুকে পিঁয়েজ,মরিচ আর পান্তা ভাতের মতো ভাবী,
নেকড়ে বাঘের মতো চেয়ে থাকি
কখন এই শূন্য উদর করতে পারবো পূর্ণ।
আমি এ সমাজের কাছে আর মাথা নত করতে চাই না,
আমি এখন শুধু দু'হাত ভরে দান করতে চাই তাদের
যারা মুখোশ পড়া এ সমাজের ভিখারীর চেয়েও ভিখারী!
যারা খাদ্যের পাহাড়ে বসেও থাকে ক্ষুধায় কাতর
আমি তাদের ভিক্ষা দেই।
বেঁচে থাক্ তোরা,বেঁচে থাক্ তোদের ক্ষুধ পিপাসা।
চাই না তোদের খাদ্যের পাহাড়
আমি নাহয় হবো এই ভূখণ্ড গ্রাসী,
পেটের জ্বালা অসহ্য হলে
এ ভূখণ্ডকেই নাহয় রাখবো উদরে পুষি।
আমি চাই না আর এ সমাজের পণ্য
আমি ভিখারী,আমি ধন্য,
আমি খাই না ভিক্ষুকের অন্ন
আমি ভিক্ষা করা বাদ দিয়েছি মুখোশদারি ভিক্ষুকের জন্য।
আমি ভিখারী,আমি ভিখারী,আমি মুখোশদারি ভিক্ষুকের ভিখারী নই
যারা মানুষ আছে এ সমাজে আমি তাদের ভিখারী হই,
আমি দোয়া মাঙ্গি করুনার মালিক বিশ্ব বিধাতৃর
তুমি ভিক্ষা দিও মোরে মানুষের মাঝে থাকিয়া স্থির।
তোমার ভিক্ষা পেলে আমি চাই না আর কিছু
তোমার কাছেই চাই ভিক্ষা করছি মাথা নিচু,
আমি ভিখারী,আমি ভিখারী আমায় ভিক্ষা দাও প্রভু
তুমি ছাড়া আর কোথাও নত হতে চাই না কভু।


রচনাঃ০৯/০৫/২০২০ইং।
সময়ঃবিকেলবেলা,০৬:১৬ টায়।