ক্ষত গুলি বুকের ভিতর যখন প্রায়
স্যালুলাইটিস আকারে ধারণ করেছে,
নওগাঁর পাহাড়পুরে যাত্রাপালার আয়োজনে
দেখেছি তখন এক মায়াবী হরিণী চোখ!
ক্ষত-বিক্ষত পঁচিশ উর্ধ যুবকের বুকে
তখন দাবড়িয়ে বেড়ায় সেই আদিম প্রেম,


চোখের তারায় খেলা করে তার
প্রাণচঞ্চল কিশোরীর মত অবিরাম আকর্ষণ,
আমিতো মৃত প্রায় তবুও এই মৃত যুবকের চোখে
তখন বিরহে আক্রমণ করেছে পেরিঅরবিটাল!
খুঁজে পাওয়া দূস্কর তোমায় হে রমনী
তন্ময় হয়ে খুঁজেছি তোমায় নওগাঁর রন্দ্রে রন্দ্রে।


জীবনানন্দ দাস তুলনা করেছে তোমায়
শ্রাবস্তির কারুকার্যের সাথে,
সেই তোমারই বুঝি আবার হয়েছে পুনর্জন্ম
নওগাঁর কোনও এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে?
আমি অধম,আমি ঊনকবি ক্ষুদ্র শব্দভান্ডার
তন্ময় হয়ে খুঁজে দেখেছি বাংলা একাডেমি
ব্যর্থ হয়েছি তোমার তুলনা দিতে উপযুক্ত শব্দ দিতে।


তোমাকে পাইনি আর পাবো কিনা জানিনা
তবুও থাকবে চিরকাল হৃদয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে,
ওহে নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরের মেয়ে!
আমি আসিবো ঘুরেফিরে কত শতবার
খুঁজতে তোমায় সোম বিহারে বারংবার।