গন্দম প্রণয়ে আসক্তি ছিল না বরাবর
তবু রোজ দেখি গণিকাগমন রাতাহার
বৃষ্টির ফোটায় টুপটাপ
নরকে পিছলে যায় খায়েশের
ধূলিমাখা কত যাযাবর
রবিসেন, সুধীরেন, আতাহার, মোতাহার।
পীচঢালা মনে নাচে নটরাজ- গণমুখ
চোখ তুলে চায় ব্রাত্য-মদ ডাকে ইশারায়
সীমানার অতলান্তিক অসুখ
জেগে ফের নিভে যায়
নিষিদ্ধ পূর্ণিমা
হরিণের মতো শুধু চায়।
নদীর গহনে তখন রক্তিম দোলাচল
নগর প্রাচীরে সীসাঢালা রাত, ঝাড়বাতি
চোখ বুঁজে ; মাতাল বাতাস
উড়ায় রেশমী নীলাচল
হরদম চলে মৌরীর ডাকাতি-
হৃদয় গুমের আস্তাকুঁড়ে
কামুক বৈদ্যের গান দৈত্যের উল্লাস
অট্টহাসি, চিৎকারে প্রেতাত্নারা ফেটে পরে
হেঁটে চলে অদ্ভুত পা ফস্কানোর ত্রাস
তখনো রয়েছি আমি মৃত সূর্য বুকে করে।
তখনো পুরুষ আমি ঢের-
চোখে নিয়ে বাঁচি মৃত জোনাকীর এক লাশ।