আকাশটাকে মাথার উপর রেখে
চলছি আমি কাঁটাবনের পথে।
কাঁটাপুঁতে কাঁটাখুলে সারা
চলছি যে পথ আমি দিশেহারা।


চলছো তুমি অন্য পথে ধেয়ে
ফুলের পরাগ, অলির গন্ধে নেয়ে
রং সরণীর পীচঢালা সে রুটে
গোলাপ, বেলীর সুবাস উঠে ফুটে।


আমরা দুজন পায়ের সুখে চলে
ভোগের নদী, সুখের পাহাড় ঠেলে
সওদা করে ফিরব যবে নীড়ে
থাকবে মনে দুজনকে আর
আগের মতো করে?


রুদ্ধশ্বাসে বয়ে গেছে নদী
কালের ধূলা জমছে নিরবধি
হরপ্পা আর সিন্ধু নদের তীরে
পটের রাজা এঁকেছিল
পটের রানীটিরে।


হঠাৎ করে মুখোমুখি হলে
বলবে কথা ছেলেবেলার ছলে?
নেবুচাঁদের বাগানখানা কেনা
হয়নি আমার, ট্রয়ের হেলেন
আছে তোমার জানা।


পৃথিবীর এই পান্থশালায় এসে
শিখছি কেঁদে, শিখছো তুমি হেসে
হাটুরে সব জীবন সওদা করে
মোমের পুতুল, কষ্টিপাথর ছেড়ে
ফিরে যাবে তাদের আপন নীড়ে।
চেঙ্গিস খান আর আলেকজান্ডার যতো
শূন্য হাতেই ফিরে গেছে তত
বাহাদুরীর আয়ুষ্কালের শেষে
পেত্রানগর ধূলায় গেছে মিশে।


নাচের পুতুল, পটের বিবি হয়ে
বাঞ্চা করি থেকে যেও রয়ে
যেমনি আছে মোনালিসা পটে
ইনকারানীর পাথর সময়
গুহায় যেমন কাটে।