মানুষ হতে পারিনি আজও হায়
এ জনমের কুকুরাসক্তি ছেড়ে,
থাবার চেয়ে হিংস্র দু-হাত;
দুচোখে সাপের গর্ত হা করে-
উদ্ভট জন্তু,এক, মানবদশায়,
মনুষত্ব-মানবতার বিসর্জনে
ছদ্নবেশে বেঁচে আছি নির্ঘাত-
হিংস্রতার এই ভয়াবহ বনে।


এখানে অসহায়ের মৃত্যু অনিবার্য;
একের রক্ত-হৃদয় অন্যের আহার্য-
নখরের আঁচড়ের জোর দেখে
ব্যাক্তিত্বের পরিচয় যে বনে;
মানুষ হতে পারি আজও-
প্রতিহিংসার প্রচন্ড উনুনে।


দশমুন্ডু রাক্ষস রাজের দেশে
মুন্ডুখেকো ছুটে চলে ঘোড়া,
এখানে বিনয়ের প্রত্ন-সমাধি
হাজার বছরের আগুনে পোড়া।
রোজ মনুষত্ব বিক্রির উৎসবে,
কত হাহাকার ছুটে শূন্যপানে-
  রক্তের বিচ্ছিরি জমে যাওয়া স্রোতে
দাড়িয়ে আজ অকাল বুদ্ধের ধ্যানে।
মানুষ হতে পারিনি এই খানে।


সভ্য হতে পারিনি  দিব্য-আঁধারে
হয়ে আছি যাযাবর অনার্য;
এখানে যত সত্য-সরলতা-
সব ডাস্টবীনে জমা বর্জ্য।
চিৎকারের কুন্ডুলীতে নিবৃত্তির
ভাবনার আছে কি মানে?
মানুষ হতে পারিনি আজও
সুশীল এই পশুত্বের বন্ধনে।


এখানে কোমরের বেল্ট শক্ত
আছে যত হ্যাংলা গুন্ডার;
পাড়ায় পাড়ায় বসতি করেছে-
হিংস্র জানোয়ার গণ্ডার।
নিংড়িয়ে কারো রক্তাশ্রু ফোয়ারা
স্বার্থকে দু হাতে ধরেছে তারা টেনে-
ভ্যাম্পায়ারকে রক্ত দিয়ে যারা
নিজেই ভ্যাম্পায়ার গেছে বনে।


  হৃদয়ের খাতায় ফিনকী-মানচিত্র
বহে  অসূরের রক্তের ধারা;
  শকুনের সাথে সখ্যতা করে আজও
মানুষ হতে পারিনি আমরা।
মুখদিয়ে স্বার্থ-শুয়োরের স্তনে-
মানুষ হতে পারি নি আজো;
হিংস্রতার ভয়াল আচ্ছাদনে।


১৩,মার্চ, ২০০৮