নিশাচর মনে আজ ভাবনা বিলাস
কালঘুমের আল্পনা রেখেছি দুরে
নিশাচর মনে আজ মুটো মুটো ত্রাস
যাযাবর মহুয়া ডুবেছে সুরে।
কবেকার কচিমেয়ের রাগ অভিমান
বিষ ফোড়ার ক্ষতের মত হয়ে তাজা
রক্তলাল গন্ড বেয়ে বিরহের গান
নির্ঘুম রাতে কাঁদার দিয়েছে সাজা।
বাতাবি লেবুর ফুলের গন্ধের মতো
মেয়েটি আজো প্রেম ছড়াতেছে তার
শতাব্দীর প্রেম পর্ব শেষ করে কতো
মাটি হয়ে গেছে রাধা অবতার।
তবুও আজ রেগে আছে সে মেয়ে
হাজার বছরের সে পুরাতন রাগ
ফিরে এসে ঘুমের ভেতর স্রোত বেয়ে
অনন্ত আমি'তে হয়েছে সজাগ।
মনে হয় আলো আঁধার, চুটিয়ে প্রেম
করেছিলাম দুজন মৌরী ফুলের পথ
মনে পড়ে দুজন এক হয়েছিলেম
নিয়ে মহাকালের অনন্ত শপথ।
মনে পড়ে বৈশাখী বন কলমির দিন
রোদমাখা উদ্দাম সে মাতাল হাওয়া
মনে পড়ে চুপচাপ হয়েছো বিলীন
অন্তর আমার আর্ত চিৎকারে ছাওয়া।
আকাশের কোণে ঘনিয়েছে আঁধার
পান্ডুলিপিতে ডেকেছে মহানাদ
পাশা পাশি বসে প্রনয়ে বাঁধার
স্বপ্ন বুনে যায় আমার হৃদয় নিষাদ।
যে হৃদয় মরেছে বহু কাল আগে
বেঁচে আছে এক তার বেনামী শরীর
সে হৃদয় আজ এই রাত্রির অনুরাগে
আমার লুপ্ত প্রানে জমিয়েছে ভিড়।
চুপিচুপি আসো এইখানে থাকি
এইপাড় ওইপাড় ডুবে, মাঝে প্রেম সেতু
মাঝরাতে যখন জেগে যাবে কেতু
হবে আবার তুমি কিশোরী বৈশাখী।