বহুদিন পরে–
হারিয়েছিলো মন সিলেটের পথে পথে
এক তীব্র শীতের রাতে,কুহেলিকা চারিদিকে
গগনেতে ছিলো তারা,ছিলো এক শুভ্র চাঁদ,
আরেকটি আমার সাথে।
নিশি অবসানে, প্রভাতের আগমনে
মিশে যাই প্রকৃতির সাথে।
দেখি সেই দুটি চোখ, যেন সকালের তারা
প্রজ্জ্বলিত আমারই কল্পলোকে।
লালাখালের চারিদিকে শান্ত বাতাস,
আর মাথার উপর আকাশ দেয় বার্তা–
ইলা কেন দূরে?কেন চোখের আড়ালে?
ফিরায়ে আনো তারে,তোমারই ম্লান আলোয়
প্রদীপের আলো নতুবা নিভে যেতে পারে।
উত্তরিলাম তারে,
সে নয় দূরে–সে আসছে–আসবে ফিরে,
কুয়াশার কালো মেঘ আলোকিত করে
সে যে ধ্বংসস্তূপে বানিয়েছে ঘর,থাকে সেখানেতে।
জাফলং থেকে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে
রয়েছে তার পদচিহ্ন হাজার কিংবা লক্ষাধিক,
হেটেছি পাশে—হেটেছিলো ক্ষণিক।
রক্তিম সূর্য মিশে গেলে মাগরিবের আজানে,
আলোকিত দুই তারার আগমন দেয় পূর্ণতার পূর্বাভাস।
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মোটরযানে
জানালার আঙিনার এক কোণে বসে
অজানা পথ চলিতে দেখে শত কল্প।
আর এখানেই রেখে যায় ইলা–
সাথে হাটা অব্যক্ত শীতের গল্প।