হুংকার ঝংকার সব কর একাকার,
নিয়ে যাবে বহুদূর, স্রষ্টার কারাগার।


হায়নার তুচ্ছ দরবার, ছিল প্রভু কবেকার!
উচ্ছেদ কর সব, অশ্লীল ভন্ডের কারবার ।


সত্যের হুংকার,দিয়ে যায় সংস্কারের ঝংকার,
নিরবে মানব না প্রহার, হবে উৎখাত মিথ্যার।  


চলো সব করি বধ,অন্ধকারের বিকৃতমনা প্রাণ,
জীবন্ত পাথরের চিৎকার, করি আজ অবসান।


হঠাৎ গড়ে ওঠা ইমারত,  দুর্নীতির পাহাড়,
চক্ষু মেলিয়া দেখ, হবে মূল উৎখাত তার ।


আমি কার, কে আমার, চেনার নাই উপায়,
হায়, খানিক ভেবে সত্যিই  ক্লান্ত হয়ে যাই।


মুখোশের আগোচরে,ঘটছে ধ্বংস বারবার,
রুখে দিচ্ছে, সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর চিৎকার।


সমাজের কি হলো! শক্তি নেই কারো দমাবার,
অন্যায়ের প্রেতে, কুলুষিত আজ স্নায়ুতন্ত্র সবার।


সব ভান,ভন্ডের সাজ,আগামীর ধ্বংসের বাজ,
প্রতিনিয়তই করছে রক্তাক্ত পুতপবিত্র সমাজ।


ওরা স্বাধীনতার পরিপন্থী, নষ্ট-মস্তিষ্কের রাজ,
স্বার্থ হাসিলের জন্যে,সাময়িক তুলে আওয়াজ।  


নাগরিক সাজে, দেশদ্রোহীর উৎপাত-দ্বন্দ্ব,
ওরা সত্যিই মন্দ, চাটুকারিতার দুর্গ-ছন্দ।


ভেবে ভুল কর না, সাধু মানেই সাধু না,
সাধনা-তীর্থের লক্ষ্যটুকুও তারা জানে না।


তারা দুরাত্মার বুদবুদ,বুঝেনা ন্যায়-অন্যায়,
স্বার্থ উদ্ধারে পারদর্শী, করে জনগণের ব্যয়।


ওরা ভন্ড মুখোশধারী, নষ্টের নষ্টামি সাজ,
দেশের শত্রু, দশের শত্রু, করে যাচ্ছে অকাজ।


হুংকার ঝংকার, তুলে কর একাকার,
নিয়ে যাব সব, সৃষ্টির স্রষ্টার কারাগার।


মিথ্যা জয়কার ছিল না, বীরের চিৎকার,
উচ্ছেদ কর সব, দালালের মিথ্যা কারবার।


'তোলো আওয়াজ', প্রকৃত বীরের কাজ-সংস্কার ,
গড়ব সব, তুলব শান্তি-নিঃশ্বাস কলরব,আবার।



২৯ অক্টোবর,২০১৯