কোনো দিন,
বিষণ্ণতার বিছানায় ঘুমিয়ে যাব
কেউ জানবে না তাঁর  খোঁজ।
রোজ রোজ কথা হবে ঠিকই
ঠিকানা পাবে না কেউ তাঁর।


হাসবো আগের মতোই,
হোস্টেলে যেমন উচ্চস্বরে আওয়াজ করে ;হেঁসে উঠতাম!
সবাই ভয় পেত নয়তো বিরক্ত হতো।
ঠিক তেমন করে হাসবো,
কিন্তু সেটার আওয়াজে শব্দ হবে না।
প্রাণখোলা তরতাজা আবেগ থাকবে না,
সময়ের প্রয়োজনে শুধু বারোটা দাঁত বের করবো
কৃত্রিমতায় ভরা থাকবে সেসবের লেশ।


রাতের আধারে,
রক্তচাপ বাড়বে; বাড়বে স্নায়ুযুদ্ধ।
দিনের আলোতে,
অক্সিজেন কমবে;কমবে আয়ুর সঙ্গ।
বেঁচে থাকা যেমন দায়িত্ব হয়ে যাবে
সুখী সাজাও তেমন নিয়ম ।
প্রজন্ম পরম্পরায় সম্পদ বণ্টন করে
কাজ চুকিয়ে ভবের নদী ডিঙ্গানো মোক্ষ হবে!
হাপিত্যেশ ভুগতে থাকা সময়ের বাঁশি বাজবে।


সাজানো কৃত্রিম প্রসাধনীর সুখ!
বিষণ্ণতার বিছানা ছেড়ে প্রস্তুত হবে।
চিতার আগুনে ঝলসিয়ে
সাদা কাপড়ের মোড়কে
কফিনে বন্দী নৌকায় পাড়ি দিবে।
ভবের এপার হতে ওপারে
প্রকৃত সুখের রাজ্যে!