বলপূর্বক ধর্মের পরিবর্তন
সত্যিই কি নিয়মের আওতায়!
তথাকথিত ধর্মাচারে
তাই কি বলা হয়!
হোমোস্যাপিয়েন্স প্রজাতি কি তাহলে
ভুলে বশীভূত হায়!


কি মরণ জ্বালা রে!
পরিবার গেল উচ্ছনে
গোত্র গেল ভেসে।


নিজ ধর্ম দিয়ে বলিদান
অন্য পথে ছুটলো
মায়াবিনীর আবেশে।
মৃত্যুশয্যায়  ডুবালো  যত
শিকড়ের সম্মান।  


নাবালকের অবুঝ মগজ
বোঝে নাই তো!
গোষ্ঠীবদ্ধ প্রজাতির সুপ্ত আশা।
তাঁরা চায় পরকালের শান্তি ;
চায় বেশি পূর্ণ!
নসিবে স্বর্গ নাই হয়  ;
যেন হাতছাড়া ।
ওপাশে ডুবিয়ে দিল
অতল কষ্টের সায়রে।
ভবিষ্যতের মানচিত্রে
স্বর্গের সুখ তারা খোঁজে।


একদল বলবে,
ভালোবাসার জয় হলো!
হলো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বিজয়!
পূর্ণের জয়ে কিছুটা কষ্ট তো হয়।


আরেক দল বলবে,
মায়ের ছিঁড়ে গেল
নাড়ির পরিচয়।
বাপ-দাদার সম্মানে
কলঙ্ক লাগে হায়!


হোমোস্যাপিয়েন্স প্রজাতিতে
জাতিগত বিভেদ বেশি।
নিত্য নতুন ধর্মাচারে
তাঁরাই দৌড়ে বেশি।
পূর্ণ্যের খোঁজে দৌড়ে যারা
গোষ্ঠীস্বার্থ ছাড়া দেখে না তাঁরা।


এমনকি হতে পারতো না!
দুই গোষ্ঠী বসলো মীমাংসা সভায়।
ভালোবাসা মেনে নিল
কিন্তু নিজ সিদ্ধান্ত
নেওয়ার বয়স হতে দেয়।


মগজের অপরিপক্কতার সুযোগে
যদি বানাও এমন অনুসারী।
জিহ্বার স্বীকৃতিকে
ভেবে নাও যদি রাজি,
তুমি স্বর্গবাসী!
ধর্মের পরিবর্তন করে
যদিও ভেবেও নাও
তুমি স্বর্গবাসী!
আসলেই তুমি স্বর্গবাসী!


অপরিণত বয়সে
বিয়ে যেমনটি হারাম।
জন্মগত ধর্মের পরিবর্তন
তেমনি হারাম! অপরিণত বয়সে।


গোষ্ঠীবদ্ধ প্রজাতি,
সব সুখ তোমাদের খোঁজে।
ভালো থেকো পরকালে,
এসবের  বদৌলতে।