যে নীড়ে নেই কোনো অস্তিত্ব!
ফিরও কেন সেথায় বারংবার।


চক্ষুলজ্জার সবটুকুনি আসলেই,
দিয়েছো কি জলাঞ্জলী গঙ্গায়?
মৃত্যুপুরীতে শুধুই দায়িত্বের আড়ম্বর,
নেই কোনো শোকের ছায়া
শুধুই ভুলে যাওয়ার তাগাদ।
শশ্মান ঘাটে,
শ্রদ্ধাঞ্জলীর সাথে কাঙালি ভোজনের
চিঁড়া, মুড়ি,দই,মিষ্টি  কি তোমার কাম্য প্রাপ্তি?


আর কতবার আপন নিবাস ভেঙে
অন্যের নীড় গড়বে।
কতবার নিজের হৃদপিণ্ড
দু-হাত দিয়ে চেপে রক্ত দিবে।
কত শতবার,
অন্যকে অক্সিজেন দিতে।
নিজের ফুসফুস বিকিয়ে দিবে
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।


এবার তো থাম!
জীবনীশক্তি  করছো অযথায় নষ্ট।


ঐ মানুষ ছাড়াও
পৃথিবী সুন্দর।
ঐ নীড় ছাড়াও
নিজের নিবাস পরিপূর্ণ।


কেন অযথায় তুমি
ঐ নীড়ে নিজের মৃত্যু দেখ?
আপন নিবাসে মুসাফির হয়ে।


দাও অক্সিজেন, রক্ত
আরও কত শত।
গড়ো নিত্য নতুন দালান
সেটা যেন হয়
আপন নীড়ের অভিসন্ধান।