ছয় ফুট গর্তে আগুন জ্বলছে
নরকের শিখা উঠছে আকাশে
বাতাসে ভাসছে দগ্ধ হওয়ার গন্ধ
কানে আসছে মানুষ পোড়ানোর তন্ত্র মন্র।
পাখা মেলে উড়ছে শকুনের ঝাঁক
মাথার উপর গোল গোল করে ।


রাত বাড়ছে জমছে আধার চারপাশে
মোহ মায়া দয়া ক্ষমা এখন সব ঘুমিয়ে।
শুধু একা একা জাগছে হতাশার পাহাড়ে বসা
আত্ম দহনে পোড়া এক শিশু!


মাত্র বয়স হলো শুরু
তীর ছেড়ে নামলো উত্তাল সাগরে।
তখুনি ঢেউ নামালো
এক দল হানাদার বাহিনী।
গোলার আঘাতে ছিড়ে গেলো স্বপ্নের পাল
নৌকা গেল উল্টে ঢুকলো অনেকটা দুঃখ।


লক্ষ্য হারিয়ে পথহারা
দুঃখের বোঝায় যায় না চলা।
বুঝলো না কি হবে তার!
কি হবে তীরে দেখা স্বপ্নের?


এক দৈব বানী এলো আকাশ ফেটে
বজ্রকণ্ঠে বললো, " দুঃখ ঝেড়ে ফেলো,উঠো তুমি!
ছেঁড়া পালে নৌকা চালাও; পাবে স্বপ্নের জলপথ।
দেখা মিলবে অজস্র রক্তচোষা পরজীবী
লৌহ বর্মে হাজার খানেক বরফের কুন্ডলী
শ্যাওলা টানবে নিচে কিছু সাময়িক বৈচিত্র্য দেখতে।
কথা দাও এদের জালে জড়াবে না। "


ওঠো শিশু হতাশা ভুলে
হাল ধরো ; তোমার লুণ্ঠিত নায়ের।
দুঃখ ছেঁকে হালকা করো
তোমার ডুবন্ত অস্তিত্বের।


একরাশ দোয়া আর্শীবাদ সক্রিয় তোমার সাহায্যে
প্রতিনিয়ত তোমার জন্য তাঁরাই অপেক্ষা করে
এই বিস্তৃত সমুদ্রে।


ওঠো তুমি!  ওঠো!  ওঠো!
তোমার ঈশ্বরের আদিম আদেশ এটা।
ওঠো তুমি!  দেখো স্বপ্ন তোমার সামনে
তুলো বৈঠা হাতে
দেখবে সাহস তুমি পাবে।