স্বৈরশাসক হও
দৈব কবজ ধারণ করো।
সাময়িক তান্ডব চালাও
প্রতিযোগীদের দাফন করো।
হোক নিন্দা ; হোক অপপ্রচার
থাক না দেশবাসী ; ভুল বুঝে।
দেশের উন্নতির স্বার্থে
কিছুটা অনিয়ম চলে।


শত্রুর ঘাঁটি উড়াতে হবে না,
শুধু ঘরের বিড়ালগুলোকে
নজরদারিতে রাখো।
সব মিট মাট!
অপচয় হলো না কোনো যুদ্ধাস্ত্র।


পরাক্রমশালী ভূপতিরা,
তোমার স্বৈরাচার বিরোধী!
তোমার রাস্তা বন্ধ করার
পায়তারা চালায় সামনে -পিছনে ।
তাদের মুখে মুখে  সাম্যের বাণী
কন্ঠে কন্ঠে মানবাধিকার!
চোখে এত মায়া যেন
আজ তাঁরাই আহত।
শোষিত নির্যাতিত মানুষেরা বুঝে
তাঁরাই মহান ; তাঁরাই তাদের ত্রাতা!
তাঁদের দুঃখ মুছে দিতে পাঠিয়েছে সৃষ্টিকর্তা।


চোখের কোটরে ভিন্ন অভিসন্ধান
অন্যের উন্নয়ন করবে ঠিকই ।
কিন্তু উন্নতি হতে দেখলে
ছুড়ে ফেলে দেবে ডাস্টবিনে!
যেন এটাই পরাশক্তির আদর্শবাদ।


শোষিতদের কাছে ভগবান
বিপ্লবী জনতার কাছে মিত্র।
চার পয়সার ত্রান সামগ্রী দিবে
দশ টাকার বিক্রি করবে অস্ত্র ।


লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে
স্বৈরাচার হঠাতে বুনিয়াদি শক্তি আসবে।
পরিশেষে উপনিবেশ হবে আবারও
ঋণের মাঝে ডুবিয়ে রাখবে মেরুদণ্ড।


সাময়িক উল্লাসে,
অজস্র মানুষের ঢল নামবে।
বছর পাঁচেক যেতে যারা এসেছে
তাঁরাও স্বৈরাচারী হবে।


এবার কোথায় যাবে?
তোমাদের অভিযোগ নিয়ে!
যাবে কোথায়?
  সাম্যের বাণী নিয়ে!
চোখের কোটরাগত অভিসন্ধান বুঝছো কি?
ঐ স্বৈরাচারী হওয়ার ইচ্ছাটা ছিল তাদেরও।
ছিল অস্ত্র বিক্রির টাকায় সুখ কেনা
আর তোমাদের মতো মানুষকে
দাবার গুটি বানিয়ে
নিজেদের রাজত্ব কায়েম করা।


থাকুক স্বৈরশাসন আমাদেরও
মালিক হোক একজন!
দরকার নাই তো,
সবার অধিকার সমান হওয়ার।


দীর্ঘজীবী হোক কাঙ্খিত স্বৈরশাসক!
এটাই আমার মতো
অবুঝ মানুষের মনস্তাত্ত্বিক লালসা ।